দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার পর হাই কোর্ট থেকে ছয় মাসের জামিন পেয়েছেন কক্সবাজারে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা বদির আপিল আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার ছয়মাসের অন্তর্বর্তীকালীন এ জামিন মঞ্জুর করেন। আপিল আবেদন আদালতে উপস্থাপনের সময় বদির জামিনের আবেদন জানান তার আইনজীবী মাহবুব আলী এমপি ও নাসরিন সিদ্দিকা লীনা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। গত ১০ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন বদির আইনজীবী।
সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে গত ০২ নভেম্বর এমপি আবদুর রহমান বদিকে ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালত। একই সঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিনমাসের কারাদণ্ডাদেশ পেয়েছেন তিনি।
সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি ধারায় মামলাটি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ধারাটি আদালতে প্রমাণিত হয়নি এমপি বদির বিরুদ্ধে।
আদালতে হাজির ছিলেন বদি। রায়ের পর পরই সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাকে।রায় ঘোষণার আগে চার্জশিটের ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট এমপি বদির বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক আবদুস সোবহান। ২০০৮ ও ২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা তথ্য প্রদান ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তার হলফনামার সূত্র ধরে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আব্দুর রহমান বদি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যমানের সম্পদ গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।
অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখানোর জন্য কম মূল্যের সম্পদ ক্রয় দেখিয়ে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩ হাজার ৩৭৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি দেখানোর অভিযোগে এ মামলা হয়।