গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া মিলিয়ে দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর সংখ্যা এক কোটি পাঁচ লাখ বলে জানিয়েছে সরকার।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত বছর কোরবানির সময় ৯৬ লাখ ৩৫ হাজার পশু প্রয়োজন হয়েছিল। আর এবার কোরবানিযোগ্যে ৩৩ লাখ গরু ও মহিষ এবং ৭২ লাখ ছাগল ও ভেড়া রয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে রোববার ‘কোরবানির পশুর হাটে সুস্থ-সবল গবাদিপশু সরবরাহ ও বিক্রয় নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
সভা শেষে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাংবাদিকদের জানান, এবার গরুর হাটে এক হাজার ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করবে। প্রতিটি টিমে একজন পশু চিকিৎসক এবং দুজন সহকারী থাকবেন।
মহাপরিচালক বলেন, পশু চিকিৎসক দল হাটে একটি বুথে চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে অবস্থান করবে। পশুর শরীরে ক্ষতিকর উপাদান পরীক্ষাসহ কোনো অসুস্থ প্রাণী পেলে শনাক্ত করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।
“মেডিকেল টিমগুলো কোরবানি ঈদের আগের দিন পর্যন্ত তিন দিন পশুর হাটে অবস্থান করবে। উপজেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি করে হাটে মেডিকেল টিম থাকবে।”
চোরাইপথে আসা গবাদিপশুর মোটাতাজাকরণ ওষুধসহ গবাদিপশুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা এবং রোগবালাইরোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঈদের আগে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত গরু মোটাতাজাকরণসহ বিভিন্ন ক্ষতিকারক ওষুধ যেন প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি না হয় তাও নিশ্চিত করা হবে।