ইউরোপীয় ইউনিয়ন ( ইইউ) থেকে শেষ পর্যন্ত বেরিয়েই গেল ব্রিটেন। ইইউতে থাকা না থাকার প্রশ্নে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) ঐতিহাসিক এক গণভোটে অংশ নেন ব্রিটেনবাসী। শুক্রবার ( ২৪ জুন) সকালে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভোট গণনা চললেও বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষেই রায় দিয়েছেন ভোটাররা।
শুক্রবার (২৪ জুন) ভোট গণনার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ব্রেক্সিট (ব্রিটিশ এক্সিট) এর পক্ষে পড়েছে ১ কোটি ৬৮ লাখ ৩৫ হাজার ( ৫২ শতাংশ) ভোট। অপর দিকে ইইউতে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১ কোটি ৫৬ লাখ ৯২ হাজার ভোটার।
ভোট গণনার শুরুতে ইইউতে থাকার পক্ষে বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চললেও সময় যত গড়িয়েছে ব্রেক্সিট (ব্রিটিশ এক্সিট) এর পক্ষে পাল্লা হেলে পড়েছে তত বেশি।
এদিকে ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হওয়ার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই দাম পড়তে শুরু করে ব্রিটিশ পাউন্ডের। ১৯৮৫ সালের পর পাউন্ডের দরের এত বড় পতন আর হয়নি বলে জানিয়েছে মুদ্রাবাজার।
এবারের এই গণভোটে ব্যাপকহারে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। এমনকি ব্রিটেনের গত সাধারণ নির্বাচনেও এত ভোট পড়েনি।
এদিকে এই গণভোটকে কেন্দ্র করে ব্রিটেনের বিভিন্ন অংশের মধ্যে প্রবল মতপার্থক্যের আভাস মিলছে। রাজধানী লন্ডন ও স্কটল্যান্ড ব্রেক্সিটের বিপক্ষে অবস্থান নিলেও ইংল্যান্ডের গ্রামাঞ্চল ও ওয়েলসের ভোটাররা শক্ত অবস্থান নিয়েছেন ব্রেক্সিটের পক্ষে। এছাড়া নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে ভোট পড়েছে প্রায় সমান সমান।
এদিকে ব্রিটিশরা ব্রেক্সিট এর পক্ষে রায় দেয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী হিসেবে পরিচিত ব্রিটিশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট পার্টির নেতা নাইজেল ফ্যারাজ। গত ২০ বছর ধরেই ব্রিটেনের ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে সওয়াল করে আসছিলেন তিনি। এ বিজয়কে তিনি সাধারণ মানুষের বিজয় বলে অভিহিত করেছেন।
একই সঙ্গে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকেও পদত্যাগ করতে বলেছেন তিনি। গণভোটের আয়োজন করলেও ব্রিটেনের ইইউতে থাকার পক্ষে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালান ক্যামেরন।