আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরে ঘরমুখো যাত্রীদের জিম্মি করে বেশি বাসভাড়া আদায়ের অভিযোগ এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (১৯ জুন) সচিবালয়ে ঈদের সময় সড়ক-মহাসড়কে যানজট এড়াতে করণীয় নিয়ে রাজধানীর পার্শ্ববর্তী জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, ইউএনও, মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধি সমন্বয় সভা শেষে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী।
ঈদের সময় বাস মালিকদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ ওঠে- এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। সমস্যাটা হচ্ছে যখন আমরা স্টেশনে, টার্মিনালে গিয়ে জিজ্ঞেস করি আপনাদের কাছ থেকে কি ভাড়া বেশি নিয়েছে, তখন কেউ কিছু বলে না।
তিনি বলেন, আমি রেয়ার কেস পেয়েছি ভাড়া বেশি নেয়, এ কথা বলে। তারপরও আমি বলছি, বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ এলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সেখানে (বাস টার্মিনালে) আমাদের ভিজিলেন্স টিম থাকবে, আপনারা (যাত্রীরা) ভিজিলেন্স টিমকে (বেশি ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি) জানাতে পারেন।
ঈদের সময় ঢাকার আশপাশের কিছু এলাকা অত্যন্ত যানজটপ্রবণ হয়ে ওঠে জানিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, এ যানজটপ্রবণ এলাকায় পুলিশও অনেক সময় যানজটের তীব্রতায় হিমশিম খায়।
ঢাকার আশপাশের ১৬টি যানজটপ্রবণ পয়েন্টে এক হাজার রোভার স্কাউটের স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্থানগুলোর হলো- কাঁচপুর, মেঘনা, ভুলতা, নবীনগর, আশুলিয়া, জিরাবো বাজার, বাইপাইল, কোনাবাড়ী, চন্দ্রা, পাকুল্লা, কালিয়াকৈর, কাঞ্চন সেতু, মদনপুর, গোমতী সেতু ও এলেঙ্গা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে অনারিয়াম (সম্মানী) দেব। তিন শিফটে কাজ হবে পাঁচ দিন (ঈদের আগে)। ২৪ ঘণ্টাই তারা কাজ করবে।
প্রত্যেক পয়েন্টে একজন লিডার থাকবেন, তাকে ১০০ টাকা বেশি দেওয়া হবে। তিনি পাবেন ১১০০ টাকা। আমাদের সঙ্গে আসতে পেরে তারাও (রোভার স্কাউটরা) খুব খুশি।
তিনি বলেন, আমরা জনগণের কষ্টটা টলারেবল লেবেলে (সহনীয় পর্যায়ে) রাখব এটাই হচ্ছে আমাদের কাজ। সভায় ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চল ও সিলেট যেতে বিকল্প রুট তুলে ধরে একটি প্রেজেন্টেশন দেওয়া হয়।