মেধা বিকাশের সুযোগ পেয়ে অটিজমে আক্রান্তরাও যেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে, সেজন্য সবাইকে আরও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নবম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “এদের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা আছে। সেটাই বিকশিত করে দেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে, যেন মেধা বিকাশের মাধ্যমে তারাও সমাজকে কিছু উপহার দিতে পারে।”
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিবন্ধীরাই বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে আনে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিশেষ অলিম্পিকে তাঁরাই গোল্ড মেডেল আনে। ক্রিকেটে তাঁরাই চ্যাম্পিয়ন হয়।
আজ বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের হাতে বিভিন্ন পুরস্কার তুলে দেন।
ব্যক্তি পর্যায়ে কীভাবে প্রতিবন্ধীদের জন্য ভূমিকা রাখা যায় তার উদাহরণ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বিভিন্ন উৎসব যেমন ঈদে, পয়লা বৈশাখে প্রতিবন্ধীদের আঁকা ছবি দিয়ে তৈরি কার্ড দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তাঁর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এসব কার্ডে ব্যবহৃত ৫০টি ছবি দিয়ে অ্যালবাম তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন বলেও জানান। এভাবে প্রতিবন্ধীদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটানো সম্ভব বলে তিনি জানান।
প্রতিবন্ধীদের নিয়ে হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিখ্যাত ব্যক্তিদের অনেকেই অটিজমের শিকার ছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের উদাহরণ তুলে ধরেন। মেধা বিকাশের সুযোগ দিলে প্রতিবন্ধীরা সমাজে অনেক কিছু দিতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের জন্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শুধু ঢাকায় নয় ঢাকার বাইরেও এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
৬৪টি জেলা ও ৩৯টি উপজেলায় ১০৩টি ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। ২৪ লাখ প্রতিবন্ধী এসব কেন্দ্র থেকে সেবা নিচ্ছে।
ঢাকায় শিশু হাসপাতালসহ ১৫টি জায়গায় শিশুবিকাশ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী শিশুর মায়েদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার অংশ হিসেবে প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা সফটওয়্যার তৈরি করে কমপিউটার, ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করতে প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এসব পদ্ধতির উন্নয়ন প্রয়োজন।