নতুন তিনটি যুদ্ধজাহাজ সংযুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার জাহাজগুলো কমিশনিং অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এই কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, নৌবাহিনীতে নতুন যুদ্ধজাহাজ যুক্ত হওয়ায় এই বাহিনী আরো একধাপ এগিয়ে গেল। এই জাহাজের প্রয়োজন কেবলই নৌবাহিনীর জন্য নয়, সমগ্র দেশের জাতির জন্যই এটি প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমরা নৌবাহিনীকে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য যেসব পদক্ষেপ নেয়া দরকার তা আমরা নিচ্ছি। আমরা চাই দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক মানের হোক।
নতুন যুক্ত হওয়া তিনটি যুদ্ধজাহাজের মধ্যে বানৌজা ‘সমদ্র অভিযান’ যুক্তরাষ্ট্র থেকে এবং বানৌজা ‘স্বাধীনতা ও ‘প্রত্যয়’ চীন থেকে আনা হয়েছে।
এই অগ্রযাত্রায় সহযোগিতার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। জাহাজ তিনটি নৌবাহিনীতে অন্তর্ভূক্তির ফলে দেশের বিশাল জলসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি সমুদ্রে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, গভীর সমুদ্রে উদ্ধার তৎপরতা বৃদ্ধি, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদক সংরক্ষণ, তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের ব্লকসমূহে অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সার্বিকভাবে দেশের ব্লু ইকোনমি উন্নয়নে সহায়ক হবে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
নৌবাহিনী সূত্র জানায়, বানৌজা সমুদ্র অভিযান বাংলাদেশ নৌবহরের নবম ফ্রিগেট স্কোয়াড্রনের দ্বিতীয় যুদ্ধজাহাজ। এই স্কোয়াড্রনের প্রথম যুদ্ধজাহাজ বানৌজা সমুদ্র জয় ২০১৩ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশনিং করা হয়। ৩৩১৩ টন ওজনের সমুদ্র অভিযান যুদ্ধ জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১১৫ মিটার।
জাহাজটিতে ২টি ডিজেল ইঞ্জিন এবং ২টি গ্যাস টারবাইন রয়েছে। অপরদিকে চীন থেকে আনা করভেট ক্লাসের মিসাইল ফ্রিগেট স্বাধীনতা ও প্রত্যয় জাহাজ দুটি দৈর্ঘ্যে ৯০ মিটার যা সর্ব্বোচ্চ ২৫ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম।