বোলিং অ্যাকশন অবৈধ প্রমাণিত হওয়ার পর বাংলাদেশ দলের এই দুই বোলারের জন্যই শেষ হয়ে গেল এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অ্যাকশন শুদ্ধ প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত বোলিং করতে পারবেন না তারা।
আইসিসির সদস্য দেশগুলোর ঘরোয়া ক্রিকেটেও এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। তবে বিসিবি চাইলে পূনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে তাদের বোলিংয়ের সুযোগ দিতে পারে।
বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশনকেও আজ সকালেই অবৈধ বলে জানিয়েছে আইসিসি। তাঁর বিকল্প মোটামুটি ঠিক করাই ছিল। সানির জায়গা নিতে আজ রাতেই বেঙ্গালুরু যাচ্ছেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন সজীব। রাজশাহী থেকে ইতিমধ্যেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তিনি।
বিসিবির নির্বাচক কমিটির সদস্য বলেছেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে আমাদের জানানো হয়েছে আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়েছে। তার বিকল্প পাঠাতে হবে। আমরা সাকলাইন সজীবকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তাসকিনের বিকল্প কে, সেটা এ পর্যন্ত ঠিক হয়নি। প্রধান নির্বাচক বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন বলে এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, হাবিবুল ও আরেক নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এটা মোটামুটি নিশ্চিত—চার জনের স্ট্যান্ড বাই তালিকা থেকেই পাঠানো হবে তাসকিনের বিকল্প খেলোয়াড়। সেটা যে কোনো পেসারই হবেন তা নয়, হতে পারেন একজন ব্যাটসম্যান কিংবা স্পিনারও।
আইসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সানির বেশির ভাগ বলেই কনুই ১৫ ডিগ্রীর বেশি বাঁকা হয়ে যায়। তবে তাসকিনের সব বলে সমস্যাটা হয়না। কিছু কিছু ডেলিভারিতে হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির ভাষায়, ‘তাসকিনের সব ডেলিভারিই বৈধ নয়।’
নিয়ম অনুযায়ি তাসকিন-সানিকে এখন বিসিবির অধীনে বোলিং অ্যাকশন শুদ্ধ করার কাজ করে আবারও পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা থাকে না। বোলিং অ্যাকশন শুদ্ধ করে কখন পরীক্ষা দেওয়া যাবে, সে সিদ্ধান্ত নিবেন সানি-তাসকিন এবং তাঁদের কোচদেরই।