...
বুধবার, মে ১৫, ২০২৪

অমর একুশে বইমেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

যা যা মিস করেছেন

বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘অমর একুশে বইমেলা ২০১৮’ বৃহস্পতিবার (আজ) বিকেলে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় মাসব্যাপী একুশে গ্রন্থমেলা ছাড়াও ২২ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলা একাডেমি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, অনুষ্ঠানে সম্মানিত বিদেশি অতিথি লেখক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এগনিস মিডোস (যুক্তরাজ্য), ড. জয়েস অ্যাসউনটেনটেঙ (ক্যামেরুন), ইব্রাহিম এলমাসরি (মিশর), অরনে জনসন (সুইডেন) প্রমুখ।

বক্তব্য প্রদান করবেন প্রকাশক-প্রতিনিধিরা। শুভেচ্ছা বক্তব্য দিবেন সংস্কৃতি সচিব মো. ইব্রাহীম হোসেন খান। স্বাগত বক্তব্য দিবেন একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর । সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

গ্রন্থমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৭ প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর হাতে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘আলোকচিত্রে বাংলা একাডেমির ইতিহাস’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ : বহুমাত্রিক বিশ্লেষণ’ গ্রন্থ দু’টি তুলে দেওয়া হবে। উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী গ্রন্থমেলা পরিদর্শন করবেন।

এদিকে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন সম্পর্কে মেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, ‘গ্রন্থমেলা উপলক্ষে ২২-২৩ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ফ্রান্স, স্পেন, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভারতসহ ৮টি দেশের ১৫ জন কবি-লেখক-বুদ্ধিজীবী অংশগ্রহণ করবেন।’

বাংলা একাডেমির দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী, গ্রন্থমেলা অনুষ্ঠিত হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং একাডেমির সামনে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় পাঁচ লাখ বর্গফুট জায়গায়। অমর একুশে গ্রন্থমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানঅংশকে ১২টি চত্বরে বিন্যস্ত করা হয়েছে। একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৩৬টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৮৩টি ইউনিট; মোট ৪৫৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭১৯টি ইউনিট এবং বাংলা একাডেমি-সহ ২৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৫ হাজার ৫৩৬ বর্গফুট আয়তনের ২৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

১৩৬টি লিটল ম্যাগাজিনকে লিটল ম্যাগাজিন কর্নারে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র প্রকাশনা সংস্থা এবং ব্যক্তি উদ্যোগে যারা বই প্রকাশ করেছেন, তাদের বই বিক্রি/প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের স্টলে। গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে।

একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলা একাডেমির একটি প্যাভিলিয়ন, চার ইউনিটের দুটি, একাডেমির শিশু-কিশোর উপযোগী বইয়ের জন্য একটি এবং একাডেমির সাহিত্য মাসিক উত্তরাধিকারের একটি স্টল থাকবে।

এবারও শিশু চত্বর মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকবে। এই কর্নারকে শিশু-কিশোর বিনোদন ও শিক্ষামূলক অঙ্গসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। মাসব্যাপী গ্রন্থমেলায় এবারও ‘শিশুপ্রহর’ ঘোষণা করা হবে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে। অমর একুশে বইমেলার প্রচার কার্যক্রমের জন্য তথ্যকেন্দ্র থাকবে বর্ধমান ভবনের পশ্চিম বেদিতে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এ ছাড়া মেলায় আগত মানুষের বসার স্থানসহ ফুলের বাগানও নির্মাণ করা হয়েছে। সাংবাদিকদের অবাধ তথ্য আদান-প্রদানের সুবিধার্থে গ্রন্থমেলায় মিডিয়া সেন্টার থাকবে তথ্যকেন্দ্রের উত্তর পাশে। বর্তমান সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ধারণার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই কর্তৃপক্ষ গ্রন্থমেলায় তাদের নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, তথ্যকেন্দ্রের সর্বশেষ খবরাখবর এবং মেলার মূল মঞ্চের সেমিনার প্রচারের ব্যবস্থা করবে। মেলায় থাকবে ওয়াইফাই সুবিধা।

গ্রন্থমেলায় টিএসসি, দোয়েল চত্বর দিয়ে দুটো মূল প্রবেশপথ, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিনটি পথ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বাহিরের ৬টি পথ থাকবে। বিশেষ দিনগুলোতে লেখক, সাংবাদিক, প্রকাশক, বাংলা একাডেমির ফেলো এবং রাষ্ট্রীয় সম্মাননাপ্রাপ্ত নাগরিকদের জন্য প্রবেশের বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে।

২রা ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-রাজনীতি-সমকালীন প্রসঙ্গ এবং বিশিষ্ট বাঙালি মনীষীর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

মেলায় নতুন সংযোজন

বাংলা একাডেমি থেকে জানানো হয়, এবার মেলার পরিসর বিস্তৃত হয়েছে। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। উভয় অংশে বাংলা একাডেমি ও অন্য প্রকাশকদের ২৪টি প্যাভিলিয়ন থাকছে। এবার ইউনিট বেড়েছে প্রায় ১০০টি। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বড় পরিসরের ‘নতুন বইয়ের প্রদর্শনশালা’ করা হয়েছে। এতে প্রতিদিন প্রকাশিত নতুন বই দিনভিত্তিক সাজানো থাকবে। গতবারের চেয়ে বড় মোড়ক উন্মোচন মঞ্চ থাকবে। শারীরিকভাবে অসুবিধাগ্রস্ত ও প্রবীণ মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে হুইল চেয়ারের সংখ্যা গতবারের চেয়ে এবার বৃদ্ধি পাবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে তিনটি এবং বাংলা একাডেমি অংশে দুটি ক্যান্টিন চালু থাকবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে উদ্যান ও একাডেমি-উভয় অংশের স্টলগুলোতে টিনের ছাউনি দেওয়া হয়েছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পর্যাপ্ত মাটি ফেলে জমি ভরাট করা হয়েছে। প্রায় এক লাখ বর্গফুট এলাকায় ইট ও বালু দিয়ে অস্থায়ী রাস্তা/উন্মুক্ত প্রান্তর নির্মাণ করা হয়েছে। শিশু চত্বরে স্টলের সংখ্যা বেড়েছে। ইট বিছিয়ে শিশুচত্বরকে উন্নত করা হয়েছে। এক হাজার বর্গফুট জায়গায় টাইলস দিয়ে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা অজু ও টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গ্রন্থমেলার প্রতিদিনের সময়সূচি

গ্রন্থমেলা ১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security
Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.