বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

তিস্তার ভাঙ্গন ঠেকাতে ফেলা হচ্ছে বালুর বস্তা

যা যা মিস করেছেন

তাসলিমুল হাসান সিয়াম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তিস্তা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে জরুরিভিত্তিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জিও ব্যাগ ও বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে নদীতে। সেটি টিকবে কি না, এ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে এলাকাবাসীর।
অবিরাম বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের মুখে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। ভাঙনের শঙ্কায় দিন কাটছে নদী পাড়ের মানুষের। ফসলসহ আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলিন হওয়ায় হতবাক এসব মানুষ। থামছে না তিস্তার ভাঙন। তিস্তার অব্যাহত ভাঙনে চলতি মৌসুমের নানা ধরনের ফসলসহ আবাদি জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। টানা ভাঙনে বেসামাল হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের পরিবারগুলো। ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে হাজারও একর আবাদি জমিসহ প্রায় দেড় হাজার বসতবাড়ি।
চলতি মৌসুমে বিশেষ করে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের উজান বোচাগাড়ি, পাঁচপীর খেয়াঘাট, তারাপুর ইউনিয়নের খোদ্দা, লাঠশালা ও হরিপুর ইউনিয়নের কাশিম বাজার খেয়াঘাটসহ কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনরোধে হরিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত এলাকায় বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী এখন তার গতিপথ হারিয়ে এবং পলি জমে একাধিক শাখা নদীতে পরিনত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওইসব শাখা নদীতে এখন তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে তিস্তার বালু চরের আবাদী জমির ফসল ও বসতবাড়ি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। বর্তমানে তিস্তার চরাঞ্চলে মাইলের পর মাইল বাদাম, বেগুন, মরিচসহ নানা উঠতি ফসলের সমারোহ। কিন্তু সর্বনাশা তিস্তার ভাঙ্গন সে ফসল ঘরে তুলতে দিচ্ছে না।
কথা হয় কাশিমবাজার গ্রামের আমজাদ সরকারের সাথে। তিনি বলেন, অবিরাম বর্ষণ এবং উজানের ঢলে বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। বর্তমানে ভাঙনের শঙ্কায় অসংখ্য পরিবার। তাদের আশ্রয়স্থল নেই বললে চলে।
হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, তার ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী ড্রেজিং এবং খনন করা ছাড়া নদী ভাঙনরোধ করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। নদী ভাঙন ঠেকাতে হলে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ ব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার চন্ডিপুর, তারাপুর, হরিপুর, কাপাসিয়া ও শ্রীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security