শফিক (ছদ্মনাম) সাহেব পাবনা জেলায় একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তার প্রথম স্ত্রীর সাথে বহু বছর আগেই ডিভোর্স হয়েছে। প্রথম সন্তানকে তিনি শুরু থেকেই পর্যাপ্ত পরিমান আর্থিক সাপোর্ট দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু সেই ছেলের নজর ছিল বাবার ব্যবসার দিকে। জোরপূর্বক বাবার ব্যবসা দখলের পায়তারা করতে থাকেন তিনি। কোনো এক সুযোগে কিছু দুষ্কৃতিকারীর সহযোগিতায় সেই ছেলে তার বাবাকে রাস্তা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যান। তারপর, তাকে ঢাকার কোনো একটি বেসরকারি হাসপাতালে মানসিক রোগী হিসেবে ভর্তি করিয়ে রাখে এবং এক প্রকার ফিল্মি স্টাইলে শফিক সাহেবের ব্যবসা দখল করেন।
এদিকে ব্যবসায়ীর দ্বিতীয় স্ত্রী ও পরিবার তার কোনো খোঁজ না পেয়ে পুলিশের শরনাপন্ন হয়। এক পর্যায়ে তারা বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজেও বার্তা পাঠিয়ে সহযোগিতা চায়। বার্তাটি দেখার পরপরই মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং ভুক্তভোগীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত অবগত হয় এবং এ বিষয়ে ত্বরিৎ উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশনা দেয়। পাশাপাশি পাবনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলমকে এ বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদারকির জন্য পরামর্শ দেয়। মাসুদ আলম জেলা পুলিশ সুপারের সাথে পরামর্শ করে এ বিষয়ে ত্বরিৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম এর সাথেও যোগাযোগ রাখছিল মিডিয়া উইং।
অবশেষে পাবনা জেলা পুলিশের সার্বিক তৎপরতায় স্বল্পতম সময়ে ভিকটিমের অবস্থান সনাক্ত করা সম্ভব হয়। আজ তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পাবনা জেলা পুলিশের একটি টিম ঢাকার বসিলায় অবস্থিত একটি অখ্যাত মানসিক হাসপাতাল ও রিহ্যাব সেন্টার থেকে ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে। উদ্ধারকালে তার স্ত্রী ও কন্যা সাথে ছিলেন। মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং সার্বক্ষণিকভাবে ভিকটিমের পরিবার ও পাবনা জেলা পুলিশের সাথে এ বিষয়টি সমন্বয় করছিল। বিষয়টি নিয়ে উপযুক্ত আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এআইজি (মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানা।