লোকমান হাফিজ:
সিলেটের গোয়াইনঘাটে ব্যতিক্রমী একটি আয়োজন দেখা দিয়েছে। এখন চলছে বোরো ধান চাষের মৌসুম। যেহেতু শীতকালীন সময় সেহেতু বোরো ধান চাষ করতে হলে অনেক পানির প্রয়োজন। শীত কালীন সময়ে বৃষ্টি না থাকার কারণে এবং রোদের তাপে যে জায়গা গুলোতে পানি থাকে ওইগুলো ও শুকিয়ে যায়। তবুও বোরো ধান চাষ করতে হয় কৃষকদের। এতে কৃষকরা বেছে নিন পানি সংগ্রহের বিভিন্ন পন্থা। এক মৌসুম ধান চাষ করে সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া যায়না তাই কৃষকরা বোরো ধানের উপর নির্ভর করেন।
বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখা যায় কেউ কেউ পানি সংগ্রহ করেন ছোট ছোট খাল কিংবা একটু দূরে থাকা বিল থেকে। এক একটি খাল কিংবা এক একটি বিলকে
কেন্দ্র করে এর পাশেই অনেক অনেকজন কৃষক মিলে বোরো ধান চাষ করেন। এতে করে কৃষকের সংখ্যা বেশি থাকায় সবাই মিলে পানি নিলে পানি সংকট দেখা দেয়। তাই পানি সংকট দূর করতে ব্যবহার করা হয় সেচ পাম্প।
বিদ্যুৎ ব্যবহার করে সেচের কার্য সম্পাদন করলে লোডশেডিং দেখা দেয়। পল্লী বিদ্যুৎ থাকার কারণে বেশি অংশ সময় বিদ্যুৎ এমনিতেই থাকেনা এর মধ্যেও আবার লোডশেডিং এর যন্ত্রণা। অনেক সময় এসেছে দিতে গেলে দেখা যায় বিদ্যুৎ না থাকার কারণে সেচ কার্য পরবর্তীতে সম্পাদন করতে হচ্ছে।
বেশি অংশ জায়গায় বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের ব্যবহার দেখা গেলেও এবার দেখা মিলেছে ব্যতিক্রমী সেচ পাম্পের। গোয়াইনঘাট উপজেলার ১নং রুস্তমপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে সৌর শক্তি ব্যাবহারের মাধ্যমে ইরি ধান চাষের জন্যে স্থাপিত হয়েছে সৌর শক্তি দিয়ে চালিত সেচ পাম্প। সৌর বিদ্যুতে শুধু বাতি, ফ্যান বা মোবাইল ফোনে চার্জ দেয়া নয়, বিশ্বায়নের এ যুগে সৌর শক্তি দিয়ে সেচ পাম্পও চালানো সম্ভব। গোয়াইনঘাটে স্থাপিত ৩টি সেচ মেশিনের মাধ্যমে প্রতিদিন ১০লাখ গ্যালন পানি উঠছে গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের ইস্থি, পাটনি, টেকনাগুল, খলামাদব এলাকায় সদ্য রূপায়িত কৃষকদের ইরি মাঠে।