হঠাৎ করেই আবারও আলোচনায় অভিনেত্রী ও সৃজিতপত্নী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। গেল সোমবার সকালে শাড়ি পরা একটি ছবি আপলোড দিয়ে ক্যাপশন জুড়ে দেন জীবনানন্দ দাশের সুবিখ্যাত ‘বনলতা সেন’ কবিতার দুটি চরণ- ‘‘সব পাখি ঘরে আসে— সব নদী— ফুরায় এ-জীবনের সব লেনদেন/থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।’’
সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করার পর মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। শুরু হয় মন্তব্যের ঝড়। সেসব মন্তব্যের বেশিরভাগই কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর ইঙ্গিতে ঠাসা।
ফেসবুকে নিজের ছবিতে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যকে ‘সাইবার বুলিং’ মনে করেন মিথিলা। তবে এটা সবার জানা যে, সাইবার বুলিং-এর পরোয়া করেন না মিথিলা। নিজেকে ইচ্ছেমাফিক প্রকাশে তার কোনও কুণ্ঠা নেই। ইতোমধ্যে মিথিলার শাড়ি পরা সেই ছবিতে হাজারো লাইক-কমেন্ট পড়েছে।
ছবিটি নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা প্রসঙ্গে মিথিলা বলেন, ‘কলকাতায় আসার আগে বেশ কিছু ফটোশুট করেছিলাম। আর জীবনানন্দ দাশ আমার প্রিয় কবি। ছবিটার সঙ্গে ক্যাপশনটা কল্পনা করে ভালো লাগলো। তাই শেয়ার করলাম। এখানে তো ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবো। বাইরে তো বেরুনো যাচ্ছে না। তাই মাঝেমধ্যেই এরকম ছবি দেবো ভাবছি।’
২০০৪ সালে অভিনেতা ও সঙ্গীতশিল্পী তাহসানের সঙ্গে পরিচয় হয় বাংলাদেশের আলোচিত মডেল, অভিনেত্রী, উপস্থাপক রাফিয়াত রশিদ মিথিলার। এরপর প্রেম। ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট তাহসানকে বিয়ে করেন মিথিলা। ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল তাদের ঘর আলো করে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কন্যার নাম রাখা হয় আইরা তাহরিম খান। কিন্তু দীর্ঘ ১১ বছরের সংসার জীবনের সমাপ্তি ঘটিয়ে ২০১৭ সালের জুলাইয়ে যৌথভাবে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন এই তারকাদম্পতি।
২ বছর একা থাকার পর ২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর কলকাতার জনপ্রিয় নির্মাতা সৃজিতের সঙ্গে দ্বিতীয় সংসার শুরু করেন মিথিলা।বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনা ভাইরাসের কারণে গত কয়েক মাস সৃজিত ও মিথিলার কারও সঙ্গে কারও দেখা হয়নি। গত কয়েক মাস মিথিলা ছিলেন ঢাকায় আর সৃজিত কলকাতায়। তবে দীর্ঘ সাড়ে ৫ মাসের অপেক্ষার প্রহর পাড়ি দিয়ে সীমান্ত ডিঙিয়ে চলতি মাসের মাঝামাঝি স্বামীর কাছে পৌঁছে যান মিথিলা। এখন সৃজিতের কলকাতার বাসায় আছেন আলোচিত এই অভিনেত্রী।