আশরাফুল হাসান মিথুন (স্টাফ রিপোর্টার) : সৈয়দপুরের ছোট্ট একটি গ্রাম। সেখানকার গরিব দু:খি মানুষের সংস্থানের উপায়।
একটি থানা কতটা উন্নত পরিপাটি সুন্দর।
এয়ারপোর্ট থেকে ২০ টাকা টার্মিনাল, সেখান থেকে লোকাল বাসে মিনিট ৩০সের পথ ভাড়া ৪০ টাকা। নামতে হবে পাগলাব্রীজ, ওখানে দাড়িয়ে আছে বেশ কিছু অটো সেই অটোই করে যেতে হবে গোসায়ের হাট ভাড়া বিশ টাকা। গোসায়ের হাট থেকে বাইকে হরিপুর এই গ্রামটি অবশ্য রংপুর সদরের আওতাধীন।
ছোট্ট গ্রামটির অলি গলি ঘুরলেই দেখা মিলবে বাড়িতে বাড়িতে পাটের বেনি বানানোর হিড়িক, শীতের সকাল চকচকে রোদের মধ্যে বসে বেনি বুনছে মা চাচিরা। করোনার কারনে স্কুলবন্ধ সেই সুযোগে কিশোর যুবতি মেয়েরাও তাদের মায়েদের সংগে হাত লাগিয়েছে। এক কেজি বেনি ৫০-৮০ টাকা মজুরী, আর তাতে বাড়ীর মেয়েদের আয় হয় প্রতিদিন ১০০-১৫০ টাকা। পুরুষের পাশাপাশি মহিলাদের এই আয় তাদের সংসারের একটি বাড়তি সংস্থান।
এতো গেলো বেনির গল্প এই গ্রামেই তৈরী হচ্ছে বেনি দিয়ে তৈরী রপ্তানী যোগ্য পাটের হরেক রকম পণ্য যা, বহিরবিশ্বে বাংলাদেশকে ব্যপক ভাবে পরিচিতি এনে দিচ্ছে। এটি সম্পুর্ন দেশীয় পন্য যা সুনামের পাশা পাশি বয়ে আনছে লক্ষ লক্ষ ডলার।
চোখের আড়ালে থাকা আলো একদিন ছড়িয়ে যাবে দেশ বিদেশে। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে সেখানকার কয়েকজন উদ্যোগ্তা।
দিন রাত পরিশ্রম করে দেশ এবং সমাজকে সম্মৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।