বিএনপি’র মানববন্ধন জিয়াউর রহমানের অপকর্ম ঢাকার অপচেষ্টার অংশ,বলে মন্তব্য করেছেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, রবিবার (৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে ‘বাংলাদেশ সিনেমা অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট-বিসিটিআই’ এর শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে বিএনপি’র মানববন্ধন সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন মন্ত্রী ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিরা হত্যাকাণ্ডের পরপরই ১৯৭৫-৭৬ সালে জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে বিদেশে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সম্প্রতি ক্যাপ্টেন মাজেদ ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার আগেও জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে স্পষ্ট বলে গেছেন। আরও অনেক দলিল-দস্তাবেজ প্রমাণ করে যে, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মবেশে প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানিদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন। সেগুলো নানা তথ্য-উপাত্তে বেরিয়ে আসে। এগুলো উপস্থাপনের জন্য আমি গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানাই। জিয়াউর রহমান যে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনর্বাসিত করেছিলেন, সেগুলো যখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তখন তাদের (বিএনপি’র) গাত্রদাহ হচ্ছে। একারণেই বিএনপির অফিসের সামনে জিয়াউর রহমানের এই অপকর্ম ঢাকার জন্য তাদের মানববন্ধন বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র নষ্ট করছে’ এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করছে বিএনপি। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃত বিরুদ্ধাচারীদেরকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন।’
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া আরও একধাপ এগিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধাচারণকারী। স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ ও গণহত্যায় অংশ নেওয়া জামায়াতে ইসলামির সদস্যদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছেন।
বিসিটিআই’র শিক্ষকদের মধ্যে ম. হামিদ, গাজী রাকায়েত, পঙ্কজ পালিত, সাজ্জাদ জহির, শামীম আকতার, জাহিদুল রহিম অঞ্জন, ফরিদুর রহমান ও কেরামত আলী সভায় অংশ নেন।
দ্য মেইল বিডি/খবর সব সময়