বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আটক করেছে পুলিশ

যা যা মিস করেছেন

ভারতের উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে ধর্ষণে নিহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে আটক হয়েছেন দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ মহাসড়কে নাটকীয় ঘটনার পর তাদের আটক করেছে পুলিশ। সরকারি বিধিমালা লঙ্ঘন করে বৃহৎ জনসমাবেশ করায় তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

উত্তর প্রদেশের হাতরাসে গণধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া দলিত নারীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এদিন হাতরাসে যাচ্ছিলেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ কংগ্রেস নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল। মাঝপথে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ হাইওয়েতে গ্রেটার নয়ডায় তাদের কনভয় আটকে দেয় পুলিশ। এরপর স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে হেঁটেই হাথরসের দিকে রওনা দেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। তাদের সঙ্গে ছিলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ ও লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীও।

তাদের যেখানে আটকানো হয় সেখান থেকে হাথরসের দূরত্ব প্রায় ১৪০ কিলোমিটার। রাহুল-প্রিয়াঙ্কাদের আটকানোর পর পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এ সময় কংগ্রেস সাংসদ রাহুলকে গলাধাক্কাও দেয় পুলিশ। পরে আটক করা হয় তাকে।

রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, উত্তরপ্রদেশের পুলিশ সদস্যরা তাদের থামানোর পরে যখন তিনি ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পথে নেমে হেঁটে যাত্রা করেন তখন তাকে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় এবং লাঠিচার্জ করা হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, ‘পুলিশ আমাকে ধাক্কা দিয়েছে, লাঠিচার্জ করেছে, মাটিতে ফেলে দিয়েছে। আমি জিজ্ঞেস করতে চাই, কেবল মোদি জিই কি এদেশের রাস্তায় হাঁটতে পারবেন? একজন সাধারণ মানুষ কি হাঁটতে পারবেন না? আমাদের গাড়ি থামানো হয়েছে, তাই আমরা হাঁটা শুরু করেছি।’

আটকের সময় রাহুল গান্ধী পুলিশ কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে প্রতিবাদ করে বলেন, ‘আপনি আমাকে কেন আটক করছেন? আটকের কী কারণ রয়েছে? গণমাধ্যমকে বলুন।’ এ সময় পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তারা তাকে ‘১৪৪ ধারা’ ভঙ্গের জন্য অভিযুক্ত করছেন।

এসময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে পুলিশের একটি সাদা রঙের মাহিন্দ্রা বোলেরো গাড়িতে তুলে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে দ্রুতগতিতে চলে যায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

ওই গাড়ির পাশাপাশি ছুটছিল আরও কয়েকটি গাড়ি। সেগুলো কংগ্রেস নেতাদের গাড়ি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সময় কয়েকশ কংগ্রেস কর্মী রাস্তা অবরোধ করে বসে পড়েন। যতক্ষণ পর্যন্ত রাহুলকে ছাড়া না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা অবরোধ তুলবেন না বলে শ্লোগান দিচ্ছিলেন তারা।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাহুল-প্রিয়াঙ্কাকে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের পাশে একটি গেস্টহাউসে নিয়ে যাওয়ার কথা। সেখান থেকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে কি-না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

জানা যায়, আটকের আগে পথের মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে রাহুলের তর্কাতর্কি শুরু হয়। কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার রাহুলকে বলে, ‘আপনি ১৪৪ ধারা ভাঙছেন। এ সময় রাহুল পাল্টা জবাবে বলেন, ‘১৪৪ ধারার অপব্যবহার করছেন আপনারা।’’

এদিন দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশে গাড়িবহর নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাদের গতিরোধ করে। পরে রাহুল স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে হেঁটেই রওনা দেন হাথরসের দিকে। রাহুল-প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে ছিলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীও।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security