ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। আর সে তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের নামও। গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড এ ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছে। প্রতিষ্ঠানটির ভ্যাকসিন এনিম্যাল ট্রায়াল চলছে। ট্রায়ালের ফলাফল ভালো বলে দাবি করছে তারা। শীঘ্রই মানুষের শরীরেও ভ্যাকসিনটি পরীক্ষা করা হবে।
চীন করো’নাভাই’রাস বা কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন দেশটির সে’নাবাহিনীর মধ্যে প্রয়োগের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া রাশিয়াও ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে।
আজ (বৃহস্পতিবার) গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ সংবাদমাধ্যমকেএমনটা জানান। এসময় তিনি বলেন, যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জানুয়ারির শুরুতে করোনার ভ্যাকসিন বাজারে আসবে বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জানুয়ারির শুরুতে করোনার ভ্যাকসিন বাজারে আসবে বলে আশা করছি।
ডা. আসিফ মাহমুদ বলেন, চলতি মাসের মধ্যে আমরা হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য আবেদন করব। এরপর বিএমআরসি (বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল) কত দ্রুত আমাদের অ্যাপ্রুভাল দেবে, আমাদের প্রটোকল অনুযায়ী সবকিছু যদি হয় তাহলে বলতে পারি চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জানুয়ারির শুরুতে আমরা ভ্যাকসিন বাজারে আনতে পারব।
তিনি বলেন, পুরোটা আমাদের হাতে নেই, বিএমআরসি, সরকারসহ অনেক বিষয় জড়িত। সবকিছু যদি ঠিকঠাক হয় তাহলে সেটাই আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।
গ্লোব বায়োটেকের প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আম’রা এখন হিউম্যান ট্রায়ালে যাচ্ছি আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের ভেতরে। অ্যানিমেল ট্রায়াল সফল হয়েছে কিনা- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, শতভাগ সফল। উল্লেখ্য, দেশে প্রথম গ্লোব বায়োটেক ফার্মা গত ২ জুলাই ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়। সব পর্যায়ের কাজ শেষ করতে পারলে আগামী ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে এই টিকা বাজারজাত করা যাবে বলে দাবি করছে প্রতিষ্ঠানটি।