সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে চলমান প্রকল্পসমূহে দায়িত্ব প্রাপ্তদের যার যার অবস্থানে থেকে কাজ করতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আজ সাউথ এশিয়া সাব রিজিওনাল ইকোনোমিক কো-অপারেশন সাসেকের আওতায় প্রথম ও দ্বিতীয় প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এই কথা জানান তিনি।
সেতুমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।
মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার ৭টি দেশের ২১টি উপ-আঞ্চলিক সড়ক করিডোর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জয়দেবপুর হতে এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীত করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
এদেশের রাজনীতিতে আন্দোলনে ব্যর্থ হলে পরবর্তী নির্বাচনে জয়ী হবার কোন রেকর্ড নেই।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে কাদের বলেন, নির্বাচনে বিএনপিকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের নেতিবাচক রাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সাথে অতিসখ্যতার জন্য।
বিএনপি মহাসচিব পার্লামেন্টের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শক্তিশালী বিরোধী দল সংসদীয় রাজনীতি এবং গণতন্ত্রের বিকাশে খুব গুরুত্বপূর্ণ।
বিএনপি নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে সরকার, নির্বাচন ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন এবং পার্লামেন্টের ওপর দায় চাপাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপির যেই কয়জন সংসদ সদস্য আছেন তারাই বেশি মিডিয়ায় ফোকাস হচ্ছে, এক্ষেত্রে স্পিকার সবাইকেই সমান সুযোগ দিচ্ছে, কেউ কোন বৈষম্যের অভিযোগ দিতে পারবে না।
বিএনপি সংসদ সদস্যরা পার্লামেন্টে নিয়মিত কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে, সে হিসেবে সরকার দলের সদস্যরা প্রতিদিন তেমন সুযোগ পাচ্ছে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন করে বলেন, সংসদে বিএনপির সদস্য সংখ্যা কম, জনগণ তাদের ভোট দেয়নি, সে দোষ কি সরকারের নাকি পার্লামেন্টের? তাদের শক্তি সংকুচিত হয়েছে, সেটাও কি সরকারের দায়?