ই-কমার্স প্লাটফর্মে দেশীয় ভোক্তাদের মধ্যে আধিপত্য বজায় রাখতে চায় ইভ্যালি। গ্রাহকের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে সব বাধা পেরিয়ে ই-কমার্স খাতে এক নম্বর অবস্থান ধরে রাখবে প্রতিষ্ঠানটি। এসব জানান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল। আস্থা রেখে এখনো আগের মতোই অর্ডার আসছে ইভ্যালিতে ক্যাশ অন ডেলিভারী সার্ভ
অনলাইন প্লাটফর্মে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ রাসেল বলেন, একটি ই-কমার্সের লক্ষ্য হলো প্রচুর ক্রেতা।এটা এমনি এমনি হয় না। এজন্য অ্যাকশন প্ল্যান থাকতে হয়। আমরা তা হাতে নিয়ে প্রচুর ক্রেতা ও বিক্রেতার সমাবেশ ঘটিয়ে এক নম্বর অবস্থানে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছি। আমরা এ অবস্থান ধরে রাখতে চাই।
মোহাম্মদ রাসেল জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইভ্যালি ২১ লাখ পণ্য বিক্রি করেছে, যার আর্থিক মূল্যমান ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ৫ জন কর্মী নিয়ে ইভ্যালির যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীসংখ্যা ৭ শতাধিক। তার দাবি, ইভ্যালির ৩৭ লাখ গ্রাহক নিয়ে বর্তমানে দেশের ই-কমার্স খাতে এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে। তিনি আরও জানান, ইভ্যালি বর্তমানে ৪ হাজার কোটি টাকার কোম্পানি। শিগগিরই বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠান থেকে বিশাল বিনিয়োগ ইভ্যালিতে যুক্ত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অন্যান্য পণ্য ডেলিভারিতে দেরির বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মোহাম্মদ রাসেল বলেন, পণ্য সরবরাহে আমাদের ডেটলাইন ৭-১০ দিন। যারা অভিযোগ করেন ৯০ দিনেও পণ্য পাননি তাদের সংখ্যা আসলে খুব বেশি নয়। হয়তো সিঙ্গেল কেউ পণ্য পেলেন না সময় মতো। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপে গিয়ে অভিযোগ পোস্ট করেন। ফলে সেটা সংখ্যায় অনেক মনে হয়। এরকম সিঙ্গেল ঘটনা এক এক করে জমতে জমতে বেশি হয়ে যায়। তবে পণ্য ডেলিভারিতে দেরির জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমরা এটা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। বিশ্বের বড় বড় ই-কমার্সেও অভিযোগ সেল আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদেরও অভিযোগ বক্সে অভিযোগ জমা হয়। সমাধানও দেয় তারা। ইভ্যালির অভিযোগ নিষ্পত্তির টিমে বর্তমানে ৭০ জন কাজ করছেন বলে তিনি জানান।
সম্প্রতি ইভ্যালির বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ রাসেল বলেন, আমরা সব ধরনের পর্যবেক্ষণকে স্বাগত জানাই। আমাদের আশা, কোনো ধরনের অভিযোগ প্রমাণ হবে না। ফলে আমরা দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে ফিরে আসব। আমরা আশা করছি, ৩০ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগেই ইভ্যালির সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দেয়া হবে। ফলে আমরা সেই অবধি অপেক্ষা করব।