শনিবার, মে ৪, ২০২৪

দেশে হোম কোয়ারেন্টাইনে ৪৭১৮১, ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৬৫৬৪ জন

যা যা মিস করেছেন

ভয়ঙ্কর ছোঁয়াচে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্ক সরকার। ভাইরাসটি যাতে সামাজিকভাবে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য রাজধানীসহ সারাদেশে সম্প্রতি বিদেশফেরত প্রবাসী এবং তাদের সংস্পর্শে আসা পরিবার ও অন্যান্য সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র প্রবাসফেরত নাগরিকদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। প্রবাসফেরত নাগরিকদের মধ্যে যারা তথ্য গোপন করছেন তাদের পাসপোর্ট বাতিল করার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আসা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে গত এক সপ্তাহে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় এসেছে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

অথচ এক সপ্তাহ আগে (২০ মার্চ) হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা লোকের সংখ্যা ছিল মাত্র ১৪ হাজার ২৬৪ জন। বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) পর্যন্ত এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ১৮১ জনে। তাদের মধ্যে ইতোমধ্যে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ করে সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫৭৪ জন।

জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় এসেছেন ৩০ হাজার ১৬৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় এসেছেন চার হাজার ৭৫ জন। একই সময়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন হাজার ৭৪৩ জন।

হোম কোয়ারেন্টাইন ছাড়াও এ সময় হাসপাতাল ও অন্যান্য স্থানে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন মোট ১৮০ জন। তাদের মধ্যে ২৯ জন ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষে ছাড়পত্র পেয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতাল ও অন্যান্য স্থানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১৫১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, সামাজিকভাবে রোগটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য রাজধানীসহ সারাদেশের মানুষকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থানের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

এদিকে ২৬ মার্চ থেকে ১০ দিনের সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে। সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে সহায়ক হিসেবে মাঠে নামানো হয়েছে। পাশাপাশি রোগটি ছড়িয়ে পড়লে চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য আইসিইউ সুবিধাসহ হাসপাতাল প্রস্তুত করা হচ্ছে।

এতদিন করোনাভাইরাসের নমুনা শুধুমাত্র স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হলেও এখন আরও তিনটি প্রতিষ্ঠান পরীক্ষা শুরু হয়েছে এবং হচ্ছে। নমুনা পরীক্ষার জন্য কিট সংগ্রহ, চিকিৎসক-নার্সসহ অন্যান্য স্টাফদের জন্য পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্টসহ (পিপিই) প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী সংগ্রহ ও বিতরণ করা হচ্ছে।

দেশে এখন পর্যন্ত ৪৪ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ১১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

 

সূত্র: জাগো নিউজ

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security