খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে এর আগে গত ২৭ মার্চ ও ২৩ এপ্রিল দুই দফা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন বিএনপি নেতারা।
জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি। জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলার শুনানি শেষ করতে কারাগারের ভেতরেই আদালত বসিয়ে তার বিচারের ব্যবস্থা করেছে সরকার।
গত সপ্তাহে ওই আদালতে শুনানির প্রথম দিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিচারককে বলেন, তিনি অসুস্থ। এই অবস্থায় তার পক্ষে বার বার আদালতে আসা সম্ভব নয়। বিচারক যতদিন খুশি সাজা দিতে পারেন।
কারাগারে এভাবে আদালত বসানোকে ‘সংবিধান পরিপন্থি’ আখ্যায়িত করে বিএনপি নেতারা বলছেন, তাদের ‘অসুস্থ নেত্রীকে জোর করে’ ওই আদালতে হাজির করা হয়েছে।
খালেদার অসুস্থতার কারণে এর আগে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছিল সরকার। কিন্তু পরীক্ষা করে সেই মেডিকেল বোর্ড বলেছিল, বিএনপি চেয়ারপারসনের অসুস্থতা গুরুতর নয়।
মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের পরামর্শে এক্সরে করাতে গত ১৪ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। তবে সরকারের গঠিত ওই মেডিকেল বোর্ড নিয়ে বিএনপির অনাস্থা রয়েছে।
বিএনপি এখন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ওরপর ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দিচ্ছে জানিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনে রোববার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, “আজকে আমাদের দলের পক্ষ থেকে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে এই দাবি জানাবেন যে, অবিলম্বে বেগম জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তর করে তার চিকিৎসা করা হোক।”