প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় যে পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে তার প্রশংসা করে পুরো পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনার কথা ভাবতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, এখন পরীক্ষা শেষ করতে যেরকম প্রায় দুই মাস সময় লেগে যায়, তা কমিয়ে আনতে পারলে শিক্ষার্থীদের যেমন আরও বেশি মনোযোগী করা যাবে, পরীক্ষা নিয়ে ‘গুজব আর অপপ্রচারের’ হাত থেকেও মুক্তি মিলবে।
বৃহস্পতিবার গণভবনে এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে এই পরামর্শ আসে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যখন পরীক্ষা দিয়েছি, তখন দুই বেলা করে পরীক্ষা দিতে হতো। সকালে এক পেপার, বিকালে এক পেপার। আমাদের তো দম ফেলার সময়ই থাকতো না। সাত দিনে পরীক্ষা শেষ। এখন পরীক্ষার সময় আরেকটু কমিয়ে আনার ব্যবস্থা যদি করতে পারেন তাহলে দেখবেন, ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করবে, পরীক্ষাটাও তাড়াতাড়ি হবে। আর এখানে ওই যে নানা ধরনের অপপ্রচার, তার হাত থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছো, তাদের অামি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। যারা ভালো করতে পারোনি তারা ভেঙে পড়বে না। অাগামীতে অারও ভালোভাবে পড়াশোনা করে ভালো ফল করবে।
তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস শুধু অামাদের দেশে নয়। ডিজিটালের যেমন ভালো দিক অাছে তেমনি খারাপ কিছু দিকও অাছে। তারপরও অামরা নকলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। যে কারণে এবার এইচএসসি পরীক্ষা নকলমুক্তভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অামাদের ছেলে-মেয়ারা খুব মেধাবী। তাদের এ মেধাকে কাজে লাগিয়ে অামরা বঙ্গবন্ধুর সোনার মানুষ এবং সোনার দেশ গড়ে তুলবো।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রধানমন্ত্রীর হাতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল তুলে দেন। পরে প্রধানমন্ত্রী কম্পিউটারের বার্টন টিপে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফলাফল উন্মোক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসেন, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত অালী। এরপর প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নেত্রকোনাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেখান থেকে শিক্ষার্থীরাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীও তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং জানতে চান তারা লেখাপড়া শিখে কী করবে। শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভুতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।