রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পদ্মা সেতু পরিদর্শন করতে মুন্সীগঞ্জ আসছেন। আগামী ২ এপ্রিল সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টায় হেলিকপ্টারে করে মুন্সীগঞ্জে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্ভিস এরিয়া-২ তে তিনি অবতরণ করবেন। লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনির হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
রাষ্ট্রপতির আগমনের খবর পেয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, সেতু বিভাগ, মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনসহ সংশ্নিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিষয়টি নিয়ে দুই জেলাবাসীর মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।
পদ্মা সেতুর দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতি ওই দিন এসে মাওয়া প্রান্তে কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডসহ সেতু নির্মাণের কর্মযজ্ঞ দেখবেন। পরে শ্রীনগরের দোগাছি এলাকার প্রকল্পের সার্ভিস এরিয়ায় দুপুরে খাবার ও কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেবেন। বিকেলে নৌ-জাহাজে চড়ে পদ্মার পাড়ে কাশবনের অপূর্বসুন্দর পরিবেশ-ঘেরা জাজিরা প্রান্তে যাবেন। সেখানে সেতুর দৃশ্যমান হওয়া ৪৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের মূল অবকাঠামো দেখাসহ চলমান নির্মাণযজ্ঞ পরিদর্শন করবেন তিনি।বিকালে তিনি জাজিরা প্রান্তে সার্ভিস এরিয়া-১ এ চলে যাবেন। সেখানে সন্ধ্যায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। পরদিন সকালে আবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন রাষ্ট্রপতি।’
এদিকে, পদ্মা সেতু প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এখন অন্যান্য কাজের পাশাপাশি সেতুর চতুর্থ স্প্যান বসানোর প্রস্তুতি চলছে। মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে চলছে স্প্যানের রঙ করার কাজ। ৭ই নম্বর স্প্যানটি এপ্রিল মাসের শেষের দিকে বসানোর লক্ষ্যে প্রকৌশলীরা কাজ করে যাচ্ছেন। ৭ই স্প্যানটি বসবে ৪০ ও ৪১ নম্বর পিয়ারের ওপর। তাই ৪১ নম্বর পিয়ারের কাজ দ্রুত শেষ করা হচ্ছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা নদীর তলদেশে নরম মাটির কারণে ১৪টি খুঁটি এবং অন্যান্য কিছু সমস্যার কারণে আরও ৮টি সহ মোট ২২টি খুঁটির নতুন করে নকশা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি খুঁটির নকশা চূড়ান্ত অনুমোদনের পর সেতু কর্তৃপক্ষের হাতে পৌঁছেছে। আর ১৩টি খুঁটির নকশার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেতুর ২২টি খুঁটির নতুন নকশায় একটি করে পাইল বাড়ানো হয়েছে। তাই ২২টি খুঁটিতে ৭টি করে পাইল বসবে। বাকি ১৮টি খুঁটিতে পাইল বসবে ৬টি করে। অন্যদিকে, নদীর দুই প্রান্তের দুই খুঁটিতে পাইল বসবে ১৬টি করে। তার মধ্যে জাজিরা প্রান্তে ১৬টি পাইলের সবগুলো বসানো শেষ। আর মাওয়া প্রান্তে ৩টি পাইল বসেছে, বাকি ১৩টি পাইল বসানোর কাজ চলছে।
ইতোমধ্যে প্রকল্পের মোট ৫১ শতাংশ কাজ হয়েছে আর মূল সেতুর কাজ হয়েছে ৫৭ শতাংশ।