ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) উপনির্বাচনের ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে গত ৯ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের জারি করা পরিপত্রটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না,তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
ওই তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গতকাল মঙ্গলবার সকালে হাইকোর্টে পৃথক দুটি রিট করেন ভাটারা ইউপির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও বেরাইদ ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। ডিএনসিসি’র ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করায় তারা রিট করেছেন বলে জানা গেছে।
গতালই শুনানী শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার রায়ের জন্য দিন নির্ধারণ করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী ও আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ডিএনসিসি উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। একই দিনে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নবগঠিত ৩৬টি সাধারণ ও ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদেও ভোটগ্রহণ করার কথা ছিল। গত ৯ জানুয়ারি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে উপনির্বাচনের ৫৪টি ওয়ার্ডে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা এক হাজার ৩৪৯, ভোটকক্ষ সাত হাজার ৫১৬টি, মোট ভোটার ২৯ লাখ ৪৮ হাজার ৫১০। আর ডিএনসিসি’র উপনির্বাচনে ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৫ লাখ ৭১ হাজার ৬৮৪।