প্রায় তিন দশক আগে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার আবদুর রশীদসহ ফ্রিডম পার্টির ১১ নেতাকর্মীকে বিশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জাহিদুল কবির রোববার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে রবিবার বেলা ১১টা ৫৯ মিনিটে বিচারক এজলাসে ওঠেন। বেলা ১২টা ১ মিনিট থেকে রায় পড়া শুরু করেন। রায়ের শুরুতে ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন বিচারক। দুপুর ১টার দিকে তিনি রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বলা হয়, পলাতক আসামি লে. কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদ, জাফর আহম্মদ ওরফে মানিক ও হুমায়ুন কবির আদালতে আত্মসমর্পণ করা কিংবা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার সময় হতে তাদের সাজার মেয়াদ শুরু হবে।
এ মামলার আসামিরা হলেন—গোলাম সারোয়ার ওরফে মামুন, জজ মিয়া, সোহেল, সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ, খন্দকার আমিরুল ইসলাম, গাজী ইমাম হোসেন, মিজানুর রহমান, হোমায়েন কবির, মো. শাজাহান বালু, আবদুর রশীদ, জাফর আহম্মদ ও এইচ কবির।
গত ১৬ অক্টোবর রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক রায়ের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন।
পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় মোট ১৯ বার চেষ্টা চালানো হয়েছে। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে হামলার মামলাটিতে এই বছরই রায় হয়।
১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে গুলি ও বোমা ছোড়া হয়। ওই ঘটনায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম একটি মামলা করেন। তদন্ত অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নেতৃত্বে গঠিত দল ফ্রিডম পার্টির নেতাকর্মীদের সংশ্লিষ্টতা বেরিয়ে আসে।
১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনার তদন্ত শেষ করে হত্যা চেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। আসামি করা হয় মোট ১২ জনকে।