বুধবার, মে ১, ২০২৪

প্রধান বিচারপতির দুর্নীতির অভিযোগের ও সুরাহা হবে: আইনমন্ত্রী

যা যা মিস করেছেন

Law mini the mail bd

রবিবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন,  “যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার প্রায় সবগুলোই এন্টি করাপশন কমিশনের আওতায়। তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন, কে এটার অনুসন্ধান করবে।”

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে যে ১১টি অভিযোগ উঠেছে তার সবগুলো দুর্নীতি সংক্রান্ত। এগুলো অনুসন্ধান করার এখতিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। দুদক এসব বিষয়ে অনুসন্ধান করবে। যদি সত্যতা পাওয়া যায় তবে মামলা হবে। মামলার পর তদন্ত হবে এবং এরপরই তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন রাষ্ট্রপতি। সব কিছুই আইন অনুযায়ী হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনীতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। আমার মনে হয় এটি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিষয় নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা ১১টি অভিযোগের সুরাহা না হবে ততদিন এ সমস্যার সমাধান হবে না।’

আনিসুল হক বলেন, ‘সম্প্রতি বেসরকারি টিভির টকশোতে অনেকে বলেছেন, আমি নাকি মিথ্যা কথা বলেছি। আসলে যারা এসব কথা বলেছেন তারা অর্বাচিন। মিথ্যা বলার অভ্যাস ওই অর্বাচিনদের, আমার নয়। আমার পিতা মরহুম অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক কোনও মামলার প্রেক্ষিতেও আদালতে কোনোদিন মিথ্যা বলেননি। তার সন্তান হিসেবে আমিও কোনোদিন মিথ্যা বলি না। প্রধান বিচারপতি যদি চিঠি লেখেন এবং সেটি যদি রাষ্ট্রপতির কাছে লেখেন। কাজেই সেই চিঠি আমরা সন্দেহের চোখে দেখি না।’

রাষ্ট্রপতিকে লেখা ছুটির আবেদনে অসুস্থতার কথা লেখার পরও গত শুক্রবার রাতে অস্ট্রেলিয়ার পথে রওনা হওয়ার আগে এক লিখিত বিবৃতিতে নিজেকে ‘সম্পূর্ণ সুস্থ’ বলেন বিচারপতি সিনহা।

তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে ক্ষমতাসীনদের সমালোচনায় তিনি ‘বিব্রত’। বিচার বিভাগ যাতে ‘কলুষিত না হয়’, সেজন্য তিনি নিজেই ‘সাময়িকভাবে’ যাচ্ছেন এবং আবার ফিরে আসবেন।

“আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সরকারের একটি মহল আমার রায়কে ভুল ব্যাখ্যা প্রদান করে পরিবেশন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার প্রতি অভিমান করেছেন, যা অচিরেই দূরীভূত হবে বলে আমার বিশ্বাস।”

সুস্থতা নিয়ে প্রধান বিচারপতির ওই বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করে আইনমন্ত্রী বলেন, “আমি তার বক্তব্যে হতভম্ব। তিনি রাষ্ট্রপতিকে লিখেছেন তিনি অসুস্থ, অথচ সাতদিন পরে বলছেন সুস্থ। আসলে যখন প্রথমে বললেন, তখনই ডাক্তারি পরীক্ষা করা দরকার ছিল, কিন্তু তা হয় নাই।”

প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ প্রমাণিত হলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে হবে কি না- সেই প্রশ্ন সংবাদ সম্মেলনে করেন একজন সাংবাদিক।

জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, “এ ক্ষেত্রে একটা শূন্যতা আছে, তবে রাষ্ট্রপতির নিজস্ব কিছু ক্ষমতা আছে। অভিযোগের অনুসন্ধান হবে, তারপর আইনে যেভাবে আছে সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security