রাখাইনে চলমান সহিংসতায় প্রেক্ষিতে সমালোচনার মুখে থাকা মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির একটি প্রতিকৃতি সরিয়ে নিয়েছে অক্সফোর্ডের একটি কলেজ। কলেজ কর্তৃপক্ষের বরাতে শনিবার বিবিসি এ খবর জানায়।
অক্সফোর্ডের সেন্ট হিউ কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, সু চির প্রতিকৃতির জায়গায় একটি জাপানি চিত্রকর্ম বসানো হবে। তবে তার প্রতিকৃতি কেন সরানো হল সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। সু চির ওই প্রতিকৃতি কলেজটির মূল ভবনের প্রবেশদ্বারে ছিল।
কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা বেঞ্জামিন জোনস বলেন, সু চির প্রতিকৃতি একটি ‘নিরাপদ স্থানে’ সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সেখানে জাপানি চিত্রশিল্পী ইয়োশিহিরো তাকাদার চিত্রকর্ম ‘একটি সময়ের জন্য’ প্রদর্শিত হবে।
১৯৬৭ সালে সেন্ট হিউ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন সু চি। গৃহবন্দি হওয়ার পর ১৯৯৩ সালে তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট দেয় অক্সফোর্ড। মুক্তি পাওয়ার পর ২০১২ সালে ওই ডিগ্রি গ্রহণ করেন তিনি।
গত ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলো লক্ষ্য করে অভিযান চালাচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এ অভিযানে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। হত্যা ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যে সাড়ে চার লাখেরও বেশি শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘের দাবি, রাখাইনে জাতিগত নিধন চলছে।
এমন পরিস্থিতিতে নীরব থাকায় এবং রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর নির্যাতন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় বেশ সমালোচিত হচ্ছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি। ‘দীর্ঘ’ নীরবতা ভেঙে চলতি মাসেই রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি। সুচির ভাষণ নিয়ে অনেকের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও, তার ভাষণের কিছু কথা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অনেকেরই অভিযোগ, সুচি বাস্তবতা এড়িয়ে গেছেন এবং সেনাবাহিনীর পক্ষাবলম্বন করেছেন।
এমন প্রেক্ষাপটে গত সপ্তাহেই সু চির কয়েকটি পুরস্কার এবং সম্মানসূচক ডিগ্রি স্থগিত করেছে বা স্থগিতের পর্যালোচনা করছে ব্রিটেনের কয়েকটি সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয়। সূত্র: বিবিসি