বিভিন্ন অপরাধের জন্য দ্রুত বিচার আইনে সাজার মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে আইন সংশোধনের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
পরে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, দ্রুত বিচার আইনের ৪(১) ধারা সংশোধন করে শাস্তির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে।
ওই ধারায় এতদিন সর্বনিম্ন ২ বছর ও সর্বোচ্চ ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান ছিল।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এ আইনের সাজা বাড়ানো হল কি না- এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “জাতীয় নির্বাচন উপলেক্ষে এটা (শাস্তি) বাড়ানো হয়নি, এটা নিয়মিত কাজ।”
চাঁদাবাজি, যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতি সাধন, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও সন্ত্রাস সৃষ্টি, অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র কেনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অপরাধ দ্রুততার সঙ্গে বিচারের জন্য এ আইন।
তবে যখন যারা বিরোধী দলে ছিল, তারা এ আইনকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ এনেছে সরকারের বিরুদ্ধে।
এ আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তির বিধান আছে। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা না গেলে আরও ৬০ দিন সময় পাওয়া যাবে।