পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এবিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না দেওয়া হলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তাতে মমতার প্রস্তাবের কোনো উল্লেখ নেই।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এসব ছোট নদী থেকে বাংলাদেশের উত্তরের জেলাগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ সম্ভব নয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, “১৯৮০ দশক থেকে আমরা তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করে আসছি। তাদের প্রত্যাশা আছে এবং পশ্চিমবঙ্গসহ সব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই আমরা ২০১১ সালে চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করেছি।”
ওই কর্মকর্তা বলেন, শুকনো মৌসুমে শুকিয়ে যায় বলে তিস্তার পানি বাংলাদেশকে দেওয়া সম্ভব নয় বলে তোরশা, মানসী, জলঢাকা ও রায়ঢাকা- এই চারটি ছোট নদীর পানি ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়ে মমতা বিস্ময় ছড়িয়ে দিয়েছেন।
“যেহেতু তিস্তা বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত এবং এটাই উত্তর বাংলা অববাহিকার সবচেয়ে বড় নদী, তাই এই নদীর পানির ভাগ অবশ্যই বাংলাদেশকে দিতে হবে। এখন পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে চুক্তির রূপরেখা নিয়ে কিছু কাজ করা যেতে পারে।”
মমতার প্রস্তাব যাতে ‘কোনো সংশয় সৃষ্টি না হয়’ সেজন্য এই বার্তা বাংলাদেশকে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।