সার্চ কমিটি প্রথমে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে থেকে নামের প্রস্তাব নিয়েছিল। এরপর গত ৩০ জানুয়ারি ১২ জন ও ১ ফেব্রুয়ারি আরও চারজন বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে বসে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে মতামত নেন তারা; তৈরি হয় ২০টি নামের সংক্ষিপ্ত তালিকা।
আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটির সদস্যরা বঙ্গভবনে যাওয়ার আগে বিকাল ৫টায় বসবেন সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে। সেখানেই সংক্ষিপ্ত তালিকাটি আরও ছোট করে ১০ জনে নামিয়ে আনা হবে বলে সার্চ কমিটির সদস্য মহাহিসাব নিরীক্ষক মাসুদ আহমেদ জানিয়েছেন।
সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনার হিসাবে প্রতিটি পদে দুই জন করে মোট ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির হাতে দেবে এ কমিটি। ওই তালিকা থেকে রাষ্ট্রপতি অনধিক পাঁচজনের ইসি নিয়োগ করতে পারেন, যাদের মধ্যে এবার একজন নারী সদস্যও থাকছেন।
কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসি এ মাসে বিদায় নেওয়ার পর নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেবে। নতুন ইসি আগামী সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করবে।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে সিইসি পদের জন্য বিচারপতি, মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ পদ ও সচিব পদমর্যাদার সাবেক কর্মকর্তাদের বেছে নেওয়ার পক্ষে মত এসেছে।
তবে সার্চ কমিটি এক্ষেত্রে সাবেক সচিবদের প্রাধান্য দিচ্ছে বলে জানা গেছে, যাদের বয়স হবে ৬০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে।
সার্চ কমিটির সদস্য মাসুদ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, সৎ, দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে ১০ জনকে চূড়ান্ত করবেন তারা।
“ভোটের দিন কাজ অনেক; মাঠ প্রশাসনের কাজে নির্দেশনা থাকে ইসির। সিইসি হিসেবে যিনি কাজটা পারবেন, সরকারের প্রাক্তন উঁচু স্তরের কর্মকর্তাদের নাম আমরা সুপারিশ করব; নৈতিকতা ও অন্যান্য মানদণ্ড আলোচনা করেই ১০ জনের তালিকা দেওয়া হবে।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “৬০-৭০ বছর বয়সসীমার মধ্যে উপযুক্ত ব্যক্তিদের তালিকা করতে গেলে সিএসপি কর্মকর্তাদের পাওয়া মুশকিল। বলা যায়, এবার বাংলাদেশ প্রজন্মের কর্মকর্তা ও ব্যক্তিরাই আসছেন ইসিতে। সিইসি হিসাবে সচিব পদমর্যাদার সাবেক কাউকে বাছাই করা হতে পারে।”
সেই সঙ্গে চূড়ান্ত তালিকায় সাবেক আমলা, বিচারক, সেনা কর্মকর্তা, পুলিশ ও অধ্যাপকরা থাকতে পারেন বলে আভাস দেন তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “তালিকায় স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে কর্মজীবনে যোগ দেওয়া ব্যক্তিরা থাকতে পারেন; ৭৩ ব্যাচ থেকে পরবর্তীতে শীষ কর্মকর্তারা থাকতে পারেন। তারা বাংলাদেশ প্রজন্ম হবে; সচিব পদমর্যাদার বিভিন্ন ব্যাচের প্রাক্তন কর্মকর্তারা থাকতে পারেন। সব কিছু সার্চ কমিটির সভায় চূড়ান্ত হবে।”