নিষ্ক্রিয় পড়ে থাকা সোয়া কোটির মতো মোবাইল সিম পুনরায় বিক্রি করার সুযোগ পাচ্ছে অপারেটরগুলো। এর একটি অংশ ২০১৪ সাল পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় বা ব্লকড; অন্যগুলো সঠিকভাবে পুনঃনিবন্ধন না হওয়ায় ২০০৮ সালে যে সব সিম বন্ধ করা হয়েছিল, সেগুলো।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি পুনঃবিক্রির অনুমোদনের সঙ্গে শর্ত হিসেবে এই সব সিম অ্যাকাউন্টে অব্যবহৃত ব্যালেন্স (অর্থ) বিটিআরসি অ্যাকাউন্টে জমা দিতে বলেছে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, অপারেটররা এ সুবিধার আওতায় এক কোটি ৩০ লাখের বেশি ব্লকড সিম পুনরায় বিক্রি করতে পারবে।
‘খুব শিগগিরই’ অপারেটররা এ সিম বিক্রির প্রক্রিয়ায় যেতে পারবে বলে জানান তিনি।
“২০১৪ সাল পর্যন্ত বিটিআরসির সিম বক্স ডিটেকশন সিস্টেম এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের সেলফ রেগুলেশন প্রক্রিয়ায় বন্ধ বা নিক্রিয় সিম পুনঃবিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”
‘সিম বক্স ডিটেকশন সিস্টেম’ এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের ‘সেলফ রেগুলেশন’ হয়ে থাকে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবহৃত সিমের ক্ষেত্রে।
২০০৮ থেকে সব অপারেটরের প্রায় ৩ কোটি সিম বিভিন্ন কারণে ব্লকড হয়েছে। এর মধ্যে ২০০৭ থেকে এ পর্যন্ত অবৈধ ভিওআইপিতে ব্যবহৃত প্রায় দেড় কোটির বেশি সিম ব্লকড হয়েছে। ২০১৬ সালের আগে ২০০৮ সালে সিম পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়ায় অনিবন্ধিত বিপুল পরিমাণ সিম ব্লকড হয়েছিল।
গত বছর বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধনের পর আবার অনেক সিম বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন বিটিআরসি সিদ্ধান্ত দিয়েছিল, অপারেটরদের কোনো সিম ১৮ মাস অচল থাকলে তা আবার নতুন করে বিক্রি করা যাবে।
অপারেটরদের নম্বর নিয়ে যেন সমস্যা না হয় সেজন্য এ সময় কমিয়ে ৬ মাস করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা।
ব্লকড সিমগুলো পুনরায় বিক্রির অনুমোদনের বিষয়টি শিগগিরই অপারেটরদের চিঠি দিয়ে জানানো হবে বলে জানান বিটিআরসি সচিব সারওয়ার।
সিম অ্যাকাউন্টে অব্যবহৃত ব্যালেন্স (অর্থ) রয়েছে তার সুস্পষ্ট হিসাব এবং ডাটাবেইস সংশ্লিষ্ট অপারেটররা প্রস্তুত ও সংরক্ষণ করবে এবং সমুদয় অর্থ বিটিআরসির অ্যাকাউন্টে জমা দেবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি।
সেই অর্থের ব্যবহার, প্রকৃত দাবিদারদের ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া, প্রকৃত দাবিদার নির্ণয়, দাবিহীন অর্থসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো অধিক যাচাই-বাছাই করে বিস্তারিত কাগজপত্র বিটিআরসির পরবর্তী কমিশন বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ মোবাইল টেলিকম অপারেটর অব বাংলাদেশ (অ্যামটব) মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবির বিটিআরসির এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।