মঙ্গলবার, মে ৭, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করতে গণভবনে আইভী

যা যা মিস করেছেন

pm-ivy-the-mail-bd

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরদিন প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করতে গণভবনে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।

বৃহস্পতিবার রাতে বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন এবং শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গণভবনে আসেন। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন বিষয়টি নিশ্চত করেন।

২০০৩ সালে চেয়ারম‌্যান হওয়ার পর আট বছর এবং মেয়র হওয়ার পর আরো পাঁচ বছর মিলিয়ে ১৩ বছর নারায়ণগঞ্জ নগরবাসীর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন তিনি। ফের আরো পাঁচ বছর নারাণগঞ্জের জনগণের সেবা করার সুযোগ পেলেন আইভী। তিনিই প্রথম নারী মেয়র যিনি দেশের কোনো মহানগরের মেয়র হয়েছে নতুন ইতিহাস গড়েছেন।

বৃহস্পতিবার সুষ্ঠু ও গোলযোগহীন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে ৭৭ হাজার ৯ শত ২ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মত মেয়র হয়েছিলেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।

নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী পেয়েছেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৬০২ ভোট। অপরদিকে বিএনপির প্রার্থী অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৭০০ ভোট।

বিজয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে সমর্থকদের সামনে এসে আইভী বলেন, ‘আমি আগেই বলেছিলাম বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে আরেকটি বিজয় হবে। আমার সে কথা সত্যি হয়েছে। এ বিজয় নারায়ণগঞ্জবাসী‌কে উৎসর্গ করলাম। বিজ‌য়ের মা‌সে অর্জিত এই জয় বঙ্গবন্ধু শেখ মু‌জিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা এবং সকল মু‌ক্তিযোদ্ধা‌কে উৎসর্গ করলাম।’

সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও নারায়ণগঞ্জের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আইভী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জের জনগণের প্রতি যে আস্থা ও বিশ্বাসের সহিত এই নৌকা প্রতীক দিয়েছিল, নারায়ণগঞ্জের মানুষ সেই আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছে।’

আইভী প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন ২০০৩ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে। নারায়ণগঞ্জ পৌরসভাকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা করার পর ২০১১ সালের প্রথম নির্বাচনে নিজ দলের সমর্থন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমান পেয়েছিলেন ৮০ হাজার ৬৬৮ ভোট। আর আইভি পেয়েছিলেন ১লাখ ৮৩ হাজার ৬৭৫ ভোট। আইভী ১ লাখ ৩ হাজার ৭ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন।

২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জে ওসমানদের অনুপস্থিতিতে ২০০২ সালে প্রবাস থেকে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন চিকিৎসক আইভী।

১৯৬৬ সালের ৬ জুন রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম আইভীর। পরিবারের পাঁচ সন্তানের মধ্যে আইভী সবার বড়। তিনি দেওভোগ আখড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে শিক্ষা জীবন শুরু করেন। মর্গ্যান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় স্টারমার্কসহ উত্তীর্ণ হন।

এরপর তিনি ১৯৮৫ সালে রাশিয়ান সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে শিক্ষা গ্রহণের জন্য ওডেসা পিরাগোব মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন এবং ১৯৯২ সালে কৃতিত্বের সাথে মেডিসিন ডাক্তার ডিগ্রি লাভ করেন।

পরবর্তীতে ১৯৯২-৯৩ সালে ঢাকা মিডফোর্ট হাসপাতালে ইন্টার্নি সম্পন্ন করেন। আইভী তার সুদীর্ঘ শিক্ষা জীবনের পর ১৯৯৩-৯৪ সালে মিডফোর্ট হাসপাতালে এবং ১৯৯৪-৯৫ সালে নারায়ণগঞ্জ ২০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে অনারারি চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন।

আইভী ১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বর রাজবাড়ী নিবাসী কাজী আহসান হায়াৎ এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। স্বামী বর্তমানে কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে নিউজিল্যান্ডে কর্মরত আছেন। পারিবারিক জীবনে তিনি দুই পুত্র সন্তানের জননী।

আইভী দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। গত মাসে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। তিনি আলী আহম্মদ চুনকা ফাউন্ডেশন এবং নারায়ণগঞ্জ হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)-এর নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি জড়িত।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security