বুধবার, মে ১, ২০২৪

নদী দখল : ১৩ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত

যা যা মিস করেছেন

নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে রোববার সচিবালয়ে নৌমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সভা শেষে নৌমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “নদীর অনেক অবৈধ স্থাপনা যেগুলো চিহ্নিত হয়েছে সেগুলেো পর্যায়ক্রয়ে উচ্ছেদে কাজ শুরু করেছি। আমরা ১৩টি স্থাপনা আজ নির্ধারণ করলাম, খুব দ্রুত সেগুলো অপসারণ করব।”

তবে উচ্ছেদ অভিযানের সুবিধার্ধে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি মন্ত্রী। ঢাকা শহর বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদী পরিবেষ্টিত।

নৌমন্ত্রী বলেন, ‘নদীর এলাকায় অনেকগুলো স্থাপনা যেগুলো অবৈধভাবে স্থাপিত হয়েছে এবং চিহ্নিত হয়েছে। আমরা পর্যায়ক্রমে সেগুলো উচ্ছেদের কাজ শুরু করেছি। তবে আমরা ১৩টি স্থাপনা নির্ধারণ করলাম (সভায়), যেগুলো খুব দ্রুততার সাথে অবিলম্বে অপসারণ করব।’

তিনি বলেন, ‘দখলকারীরা যত শক্তিশালী হোক আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালাব। কয়েকটি নামও এসেছে, এ ১৩টির মধ্যে অনেকে হয়তো বড় বড় স্থাপনার মালিক রয়েছেন, সেগুলোকেও কিন্তু আমরা উচ্ছেদ করব।’

এ ১৩টি স্থাপনার বিষয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (টাস্কফোর্স) ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কোন তথ্য জানাতে রাজি হননি। তারা জানান, স্থাপনার নামগুলো আগেই প্রকাশিত হলে উচ্ছেদ অভিযানে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘নদীর যে সীমানা পিলারগুলো নিয়ে আপত্তি ছিল সেগুলোর জন্য আমাদের নকশার প্রয়োজন। সেই নকশাগুলো ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়। এটা এক সপ্তাহের মধ্যে সব জেলা প্রশাসকদের কাছে আমরা পৌঁছে দেব। খুব শিঘ্রই জেলা প্রশাসকরা এ নকশার ভিত্তিতে নদীর আপত্তিজনক সীমানায় চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত দেবেন।’

‘ইতোমধ্যে যে সব পিলার নির্ধারিত হয়েছে, এগুলো মধ্যে যেগুলো আপত্তিজনক আমরা সেগুলোর বিষয়ে এক মাসের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা নেব।’

সীমানা পিলারকে কেন্দ্র করে অনেক জায়গায় নতুন করে অবৈধ দখলের প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দাদের একটি পরিপত্র জারি করে নির্দেশনা দেব। সেটি হল পুনরায় জরিপকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ সব এলাকায় মাটি ভরাট বা কোন ধরণের স্থাপনা করা যাবে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘নদীর পাড়ের যে জায়গাগুলোর খাজনা বিআইডব্লিউটিএ নিয়ে থাকে, দেখা যায় তহশিল অফিসে গিয়ে এ জমির দাবিদার অনেকে খাজনা দিয়ে থাকে। তাদের খাজনা যাতে না নেওয়া হয় সেজন্য তহশিলদারদের এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হবে।’

নদী দখল-দূষণ রোধে জনগণকে সচেতন করে তুলতে প্রচারণামূলক কার্যক্রম চলবে বলেও জানান মন্ত্রী।

স্থানীয় জনগণকে নিয়ে কমিউনিটি কমিটি করা হবে জানিয়ে নৌমন্ত্রী বলেন, ‘যে যে জায়গা আমরা উচ্ছেদ ও অপসারণ করব সেসব জায়গায় যাতে কেউ দখল করতে না পারে সেজন্য স্থানীয় জনগণকে নিয়ে এ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

উচ্ছেদের পর আবার দখল হয়ে যাচ্ছে, স্থানীয় প্রশাসনকে কেন জবাবদিহিতার আওতায় আনা হচ্ছে না- একজন সাংবাদিক জানতে চাইলে নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘আজকেও তাদের কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে নতুন করে কেউ এ ধরণের কার্যক্রম করতে না পারে। জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিয়মিত এ সব জায়গাগুলো পরিদর্শন করবেন। দখল যাতে না হয় সে ব্যবস্থা নেবেন। সেভাবেই আজ আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।’

এতে মিটিং করার পরও নদী দখল রোধে তেমন সাফল্য নেই- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জনবল নেই, আমাদের শক্তিও কম। উচ্ছেদে যে যন্ত্রগুলো দরকার সেগুলোও আমাদের ছিল না, স্কেভেটরসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কিনে আমরা এটা শুরু করেছি।’

নৌমন্ত্রী বলেন, ‘নদী দূষণমুক্ত করার জন্য কি করব তার দায়িত্ব নৌবাহিনীকে দেওয়া হয়েছিল, তারা একটা প্রেজেন্টেশন দিয়েছেন। সেই কমিটি কিভাবে হবে সেজন্য একটি সামারি (সার-সংক্ষেপ) প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেই সামারি অনুমোদন করলে নদী দূষণমুক্ত করার জন্য নেভিকে সম্পৃক্ত করে আমরা সেই কার্যক্রমটা শুরু করব।’

সভায় ভূমিমন্ত্রী, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল, নৌপরিবহন সচিব সহ টাস্কফোর্সের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security