তুরস্কের কুর্দি অধ্যুষিত দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপ শহরে বিয়ের অনুষ্ঠানে সন্দেহভাজন আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন।
রবিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাটিকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে অভিহিত করছে তুর্কি সরকার। আত্মঘাতী একজন হামলাকারী হামলা চালিয়েছে বলে তারা ইঙ্গিত দিচ্ছে।
হামলার দায় স্বীকারের কোনো খবর না এলেও সন্দেভাজন হিসেবে ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) দায়ী করছে তুরস্ক।
প্রেসিডেন্ট তায়িপ এরদোয়ান বলেন, সম্ভবত ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিরাই শেষ রাতের দিকে এই হামলা চালিয়েছে, যা এবছরের মধ্যে তুরস্কে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।
উপ-প্রধানমন্ত্রী মাহমেত সিমসেক হামলাটিকে ‘বর্বর’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি বলেন, ঈশ্বর চাইলে আমরা এটি কাটিয়ে উঠব।
শহরের যে জায়গায় হামলাটি হয়েছে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীর বসবাস রয়েছে।লোকজন বিয়ের আসর থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসার পরই বিস্ফোরণটি ঘটনো হয়।
সিরীয় সীমান্ত থেকে ৬৪ কিলোমিটার দূরের শহরটি সব অংশ থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
ঘটনাস্থলে অনেকগুলো অ্যাম্বুলেন্স জড়ো হয়েছে এবং সিএনএন তুর্কিতে সম্প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে শহরটির জনাকীর্ণ রাস্তাটিতে পুলিশ ও জরুরি বিভাগের কর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন বলে দেখা গেছে।
নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে, সম্ভবত উৎসব করতে বিয়ের আসর থেকে বড় একটি দল রাস্তায় নেমে আসার পর বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়।
ট্যুইটারে তুরস্কের ক্ষমতাসীন একে পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য সামিল তাইয়ার জানিয়েছেন, হামলার পিছনে আইএস আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবিসি জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত কোন গোষ্ঠী হামলার দায়-দায়িত্ব স্বীকার করেনি। তবে সরকারি কিছু সূত্র বলছে যে, হামলাটি চালিয়েছে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট।
গাজিয়ানটেপে আইএস গোষ্ঠীর সদস্যরা আছে বলে আগেও জানা গিয়েছিল।
গত বছর থেকে তুরস্কে আইএস গোষ্ঠি ও কুর্দি জঙ্গিগোষ্ঠীরা একাধিক বোমা হামলা চালিয়েছে। সর্বশেষ গত জুনে ইস্তাম্বুল বিমান বন্দরে এক হামলায় ৪০ জন নিহত হয়।
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।
প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।