গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারি রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হাসনাত করিম ও তাহমিদের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটর ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিন এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল।
গত ১ জুলাই রাতে গুলশানের আর্টিসানে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এসময় ৫ জঙ্গিসহ ছয়জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়।
তবে সারারাত জঙ্গিদের কব্জায় থেকে সকালে সুস্থভাবেই ফিরে আসেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিম ও কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাহমিদ হাসিব খান।
উদ্ধার পরই তাদের নেয়া হয় দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতেও দেখা যায় হাসনাত করিমের সন্দেহজনক আচরণ। এরপর থেকেই তার ওপর নজরদারি করা হয়।
হাসনাত ও তাহমিদকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে ৫৪ ধারায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়।
অন্যদিকে হাসনাত ও তাহমিদের আইনজীবীরা এর বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে মহানগর হাকিম নুরুন্নাহার ইয়াসমিন দুইজনকে আট দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
গত ২ জুলাই সকালে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি থেকে ‘উদ্ধার করে’ পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পর থেকে হাসনাত ও তাহমিদ আর বাড়ি ফেরেননি বলে পরিবার এতোদিন দাবি করে আসছিল।
তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম)বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাহমিদকে এবং গুলশান আড়ংয়ের সামনে থেকে হাসনাতকে তারা গ্রেপ্তার করেন।
পুলিশের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, হাসনাত ও তাহমিদকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে গুলশান হামলার বিষয়ে তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
অন্যদিকে হাসনাতের আইনজীবী এর বিরোধিতা করে বলেন, তার মক্কেল ৩২ দিন ধরে পুলিশ কাস্টডিতে। তাকে নতুন করে রিমান্ডে নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।