শনিবার, মে ৪, ২০২৪

আমরা যেন দেশকে এগিয়ে নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারি:প্রধানমন্ত্রী

যা যা মিস করেছেন

তিনি বলেছেন, “আমরা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদবিরোধী যে কার্যক্রম নিয়েছি, তার ফলে বাংলাদেশে আজকে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। এখানে দেশবাসীর সহযোগিতা চাই। কারণ কিছু তো থাকেই সবসময় একটা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।”

আওয়ামী লীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বৃহস্পতিবার সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় একথা বলেন দলটির সভানেত্রী হাসিনা।

সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাবার্ষিকী উপলক্ষে অনির্ধারিত আলোচনার সূচনা করেন শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমু। এরপরই প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এদেশের মানুষ যতটুকু পেয়েছে আওয়ামী লীগ যখন সরকারে এসেছে তখনই পেয়েছে। তা ছাড়া সবসময় জনগণ বঞ্চিত হয়েছে। স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিনবছর ক্ষমতায় বঙ্গবন্ধু এই দেশকে গড়ে তুলেছেন। আজকে আমরা আমাদের প্রবৃদ্ধি ৭ ভাগ অর্জিত হয়েছে বলি। ৭ ভাগ কিন্তু জাতির পিতার আমলেই প্রথম অর্জন করা সম্ভব হয়েছিল। এরপর আর পারেনি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা বছরের পর বছর দেশ শাসন করেছে, দেশকে পিছিয়ে নেয়াই যেন ছিল তাদের একমাত্র  লক্ষ্য।’

তিনি বলেন, ‘অধিকার আদায়ে আওয়ামী লীগ বার বার নেতৃত্ব দিয়ে গেছে। প্রত্যেক আন্দোলনে বিজয় লাভ করেছে এবং জনগণের  ক্ষমতা জনগণের হাতে তুলে দিয়েছে।’

শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সেই আওয়ামী লীগই এই বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতা এনে নেয়। কাজেই আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলার স্বাধীনতার সাথে একটা যোগসূত্র রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বাঙালির যা কিছু অর্জন, তা কিন্তু আওয়ামী লীগের হাতেই। এ প্রসঙ্গে তিনি ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান, ৬ দফা আন্দোলন, ৭০-এর নির্বাচন এবং ৭১-এর  মুক্তিযুদ্ধের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এই ভূখণ্ডে বাংলাদেশ নামটা কিন্তু বঙ্গবন্ধুর দেয়া। আমাদের জাতীয় সংগীত কী হবে সেটাও তিনি আগেই ঠিক করে গিয়েছিলেন। এমনকি আমাদের পতাকা  কী ধরনের হবে, কোন ডিজাইন হবে, সবুজ জমিনে লাল সূর্য, এটাও জতির পিতারই করে দেয়া।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন, তার ফলে অনেক আগেই বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশ হতে পারত।  কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ওপর আবার নির্যাতন নেমে আসে। এই হত্যার মধ্য দিয়ে তখন ক্ষমতায় আসে যারা, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি।

‘আমরা তখন দেখি মুক্তিযোদ্ধাদের নিধন করা হচ্ছে, সেই সাথে আওয়ামী লীগের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন। এরই মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগ টিকে থেকেছে। তৃণমুলের নেতাকর্মীরাই এ দলকে শক্তিশালী করে রেখেছে, সুসংগঠিত করে রেখেছে’, বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। ১৯৯৬ থেকে ২০০০ সাল সময়টা ছিল বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণযুগ। বাংলাদেশের মানুষ প্রথম উপলব্ধি করে সরকার জনগণের সেবক। পরবর্তীতে ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে হারিয়ে দেয়া হয় তারপর ৭ বছর আওয়ামী লীগের ওপর একাত্তরের মতো গণহত্যা চালানো হয়।’

তিনি বলেন, ‘তারপর এক-এগারোর সরকার এবং তার বিরুদ্ধে আন্দোলনেও আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে। এর মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছি। ২০১৪ সালে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পুনরায় ক্ষমতায় আসতে পেরেছি বলে আমরা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পেরেছি। বাংলাদেশকে এখন কারও কাছে হাত পাততে হয় না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ৬৭ বছরের ইতিহাস একদিকে যেমন সংগ্রামের, অন্যদিকে আত্মত্যাগের ইতিহাস।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধের ইতিহাসে যারা মিত্রবাহিনী ছিল তারা কিন্তু ঘাঁটি করে থেকে গেছে। কিন্তু স্বাধীনচেতা বঙ্গবন্ধুর ভূমিকার কারণে বাংলাদেশে মিত্রবাহিনী থাকতে পারেনি। ইন্দিরাগান্ধী মিত্রবাহিনীকে ফিরিয়ে নেন। পৃথিবীর ইতিহাসে কিন্তু এটা হয়নি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেদিন বেশি দূরে না, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করব এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ  এশিয়ায় একটা উন্নত দেশ।’

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security