পাবনায় পদ্মার চরে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে, যাকে এটিএসআই সুজাউল ইসলাম হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
ঈশ্বরদী থানার ওসি বলছেন, বুধবার ভোর রাতে হার্ডিঞ্জ সেতুর পশ্চিম পাশে ‘পদ্মার চরে আখ ক্ষেতের ভেতরে’ গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে।
নিহত রুবেল হোসেন (২৪) ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের দিয়ারবাঘইল গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে। পরিবারের কারও সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় এ ঘটনায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) র ভাষ্য, গোপন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ রুবেল হোসেনকে গ্রেপ্তারে পাকশী এলাকায় পদ্মার চরে অভিযান চালায়। সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এএসআই সুজাউল হত্যাকাণ্ডে রুবেলের আরেক সহযোগী ইব্রাহিম হোসেনকে ধরতে পুলিশ আবার অভিযান চালায়। অভিযানে পুলিশের সঙ্গে রুবেলও ছিলেন। রুবেল ও ইব্রাহিমের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় রুবেল গুলিবিদ্ধ হন। ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিদেশি রিভলবার ও দুটি গুলি উদ্ধার করেছে। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পাকশী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সহ তিন কনস্টেবল আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তারা ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
গত বছরের ৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হন ঈশ্বরদীর পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সুজাউল ইসলাম। এর পর থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরদিন ৫ অক্টোবর সকালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ রেললাইনের ধারে (ইপিজেড সড়ক) তাঁর হাত-পা-মুখ বাঁধা লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় তৎকালীন পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রেজাউল করিম অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। প্রথমে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা পাবনা থানাহাজতে রয়েছেন।