রাজধানীতে প্রি-অ্যাক্টিভ সিম বিক্রির অভিযোগে গ্রামীণফোন ও এয়ারটেলকে জরিমানা করছে সরকার। একই সাথে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে প্রি-অ্যাক্টিভ সিম বিক্রির অভিযোগে ৭ জন রিটেইলারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, এসব সিম অন্য কারও নামে নিবন্ধন করে এখন পুনরায় বিক্রি করা হচ্ছে। তাদের থেকে ১৩টি সিম উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি গ্রামীণফোনের এবং ৪টি এয়ারটেলের। টেলিকম আইনের ৭৩ ধারায় গ্রেফতারকৃত ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তারানা হালিম জানান, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত খুচরা সিম বিক্রেতা ও বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম যাচাইয়ের সঙ্গে যুক্তদের তথ্য দিতেও মোবাইল ফোন অপারেটরদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিটিআরসির এক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি ঢাকা ও ঢাকার বাইরে আগে থেকে চালু হওয়া (প্রিঅ্যাকটিভেট) মোবাইল সিম বিক্রির ঘটনা জানান পর অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে বারবার আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে গ্রাহকের অজান্তে একাধিক সিম নিবন্ধনের ঘটনাও ঘটেছে বলে জানিয়েছিল বিটিআরসি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ৪ জুন পর্যন্ত মোট ১১ কোটি ৬০ লাখের মত সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র হিসাবে গত এপ্রিল শেষ নাগাদ গ্রাহকের হাতে থাকা মোবাইল সিমের সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ২০ লাখের মত। এ হিসাবে এখনো দেড় কোটির বেশী সিম নিবন্ধিত না হওয়ায় ঘোষনা অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে। তবে গ্রাহকরা ইচ্ছা করলেই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করে সেই সিম উত্তোলন করতে পারছেন।
এদিকে মোবাইল ফোনের প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সংযোগের (সিম/রিম) ব্যবহার বন্ধ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছে চিঠি দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী (পুলিশ-র্যাব) দিয়ে অভিযান চালানোর জন্য রবিবার এ চিঠি পাঠানো হয়। বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে লেখা চিঠিতে পুলিশ-র্যা বকে দিয়ে অভিযান চালানোর অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিটিআরসির মাধ্যমে অভিযান পরিচালনার কথাও বলা হয়।
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ৩১ মে পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ১১ কোটি ৬০ লাখ সিম ভেরিফিকেশন হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এরপরও বাজারে প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম পাওয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের পর সব অনিবন্ধিত সিম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন ছাড়া সংযোগ বিক্রি নিষিদ্ধ।