বেচারা সালমান খান। তিনি হয়তো ভাবছেন, ‘আমার দোষটা কী? আমি তো আর যেচে গিয়ে বলিনি আমাকে দূত বানাও।’ এই দূত হতে গিয়েই অদ্ভুত এক গ্যাঁড়াকলে পড়েছেন বলিউড তারকা।
এবারের অলিম্পিকে ভারতের দূত বানানো হয়েছে সালমানকে। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, সালমান কেন? তিনি কী এমন করেছেন ভারতের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য? মিলখা সিং, পিটি উষাদের দেশ ভারতে কি এমন কেউ আর ছিল না, সালমানকেই বানাতে হবে দূত!
পদ্মশ্রী খেতাবে ভূষিত, ভারতের অলিম্পিয়ান মিলখা সিং সালমান খানকে অলিম্পিকের শুভেচ্ছা দূত বানানোর তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘শুভেচ্ছাদূত হওয়ার মতো অনেক যোগ্য সাবেক ক্রীড়াবিদ থাকতেও একজন বলিউড অভিনেতাকে এই শুভেচ্ছাদূত বানানোর কোনো কারণ থাকতে পারে না।’
মিলখা সিং অবশ্য এই ‘শুভেচ্ছাদূত’ পদটিরই বিরোধী। তাঁর যুক্তি, ‘আমি এই শুভেচ্ছাদূত পদটিরই ঘোর বিরোধী। অলিম্পিকে দেশের হয়ে যে ক্রীড়াবিদেরা অংশগ্রহণ করছেন, তাঁরাই তো দেশের একেকজন শুভেচ্ছাদূত। এই ক্রীড়াবিদেরা দেশের জন্য সম্মান বয়ে নিয়ে আসতে লড়বেন, এঁরা দেশের জন্য অনেক কিছুই করেন। প্রতিটি ক্রীড়াবিদই শুভেচ্ছাদূত হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। একজন শুভেচ্ছাদূত অলিম্পিকে গিয়ে কী করবে? সে তো ক্রীড়াবিদ নয় যে খেলায় অংশ নেবে। কোনো নির্দিষ্ট দায়িত্ব ছাড়া শুধু শুধু একজনকে এই দায়িত্ব দিয়ে পাঠানোর কোনো মানেই হয় না।’
একজন অভিনেতা হিসেবে সালমানের প্রতি মিলখা সিংয়ের শ্রদ্ধা যথেষ্ট। ব্যক্তিগতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ক্ষোভ যে নেই, সেটিও মনে করিয়ে দিলেন মিলখা, ‘সালমান দারুণ একজন অভিনেতা। তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা আকাশছোঁয়া। তাঁর অর্জন, কাজকে শ্রদ্ধা করি। সালমান তাঁর কর্মক্ষেত্রে একজন মহাতারকা। কিন্তু খেলাধুলার বিষয়টি ক্রীড়াক্ষেত্রের তারকাদের জন্যই ছেড়ে দেওয়া উচিত।’
সালমান খানের জনপ্রিয়তার বিচারেই নাকি এই পদের জন্য তাঁকে বিবেচনা করা হয়েছে—অলিম্পিকের শুভেচ্ছাদূত বানানোর ব্যাপারে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের যুক্তি শুনে আরও খেপেছেন মিলখা, ‘সে ক্ষেত্রে অলিম্পিকে ক্রীড়াবিদ না পাঠিয়ে বলিউডের তারকাদের পাঠিয়ে দিলেই তো হয়। তাঁরা অনেকেই তো জনপ্রিয়।’
সূত্র : টাইম অব ইন্ডিয়া।