জরুরি অবস্থার সময় যাচাই ছাড়া শেখ হাসিনার ‘দুর্নীতির’ খবর প্রকাশ করায় ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে মানহানির নতুন মামলা হয়েছে।
ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার-এর সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে আজ সোমবার আরও ছয়টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি মামলাতে ৩০২ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে। এ নিয়ে মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে চারটি নালিশি মামলাসহ মোট ২৪ টি মামলা হলো।
আজকের ছয়টি মামলা করা হয় সুনামগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, নীলফামারী, রংপুর ও সিলেটে।
গতকাল রোববার মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার আদালতে ১০ হাজার কোটি টাকার একটি মানহানির মামলা হয়। বাকি ১২টি মামলা হয়েছে আটটি জেলায়, যার চারটিতে ২১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার মানহানি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। ৯ ও ১১ ফেব্রুয়ারি দুই দিনে হয়েছিল পাঁচটি মামলা। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ, খুলনা, কক্সবাজার ও লক্ষ্মীপুরে করা চারটি মামলায় মোট ১১১ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
৪ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে এক-এগারোর সময় সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের বিচ্যুতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মাহ্ফুজ আনাম তাঁর পত্রিকায়ও এমন ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছিল বলে স্বীকার করেন।
এর পরদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তাঁর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে ডেইলি স্টার-এর সম্পাদকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তুলে বিচার চান।
৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে কয়েকজন সাংসদ ডেইলি স্টার বন্ধ করা এবং মাহ্ফুজ আনামের পদত্যাগ ও বিচার দাবি করেন। এর পরদিন থেকে মাহ্ফুজ আনামের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হচ্ছে। মামলার অভিযোগও প্রায় একই রকম।
অভিযোগে বলা হয়, এক-এগারোর সময় একটি গোয়েন্দা সংস্থার নির্দেশনা বাস্তবায়নে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করতে মাহ্ফুজ আনাম তাঁর সম্পাদিত পত্রিকায় মিথ্যা ও বিকৃত তথ্য প্রকাশ করেন, যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। এ কারণে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে দীর্ঘদিন কারাভোগ করতে হয়। এতে তাঁর দল ও মামলার বাদীদের মানহানি হয়েছে।