পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে চলমান টানাপোড়েনের কারণে সম্পর্ক নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সরকারের এ অবস্থানের কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে ভবিষ্যতে কী হবে তা ভবিষ্যতই বলে দেবে।
সংসদে সরকারি দলের সদস্য (এমপি) আবদুল মান্নানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মাহমুদ আলী বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। তবে আপাতত কিছু করছি না। ভবিষ্যতে কী হবে তা ভবিষ্যতই বলে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার বিষয়টি জাতীয় স্বার্থের ওপর নির্ভর করে। জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় রেখে আমরা বৈদেশিক সম্পর্ক নির্ধারণ করে থাকি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। সোমবারের ঘটনার বিষয়ে পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
সরকারি দলের সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম ও রায় কার্যকরের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময় পাকিস্তান অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ও অযাচিত বিবৃতি বা মন্তব্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সামিল, যা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।
মাহমুদ আলী বলেন, পাকিস্তানের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে প্রতিবারই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। পাকিস্তান হাইকমিশনারকে বিভিন্ন সময় এজন্য তলবও করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা আমাদের পররাষ্ট্র নীতির একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। অন্যসব রাষ্ট্রের কাছ থেকেও একই আচারণ প্রত্যাশা করি। কিন্তু, পাকিস্তান বরাবর হতাশ করেছে। এ বিষয়ে সব কূটনৈতিক ফ্রন্টে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত দৃঢ়। ভবিষ্যতে, পাকিস্তানি মহল বা কর্তৃপক্ষ দায়িত্বশীল আচরণ করবে এবং এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবে বলে প্রত্যাশা করি।’