একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর আপিলের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হবে আগামীকাল (৬ জানুয়ারি) বুধবার।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চে নিজামীর আপিল মামলাটি রায়ের জন্য রায় ঘোষণা হবে আগামীকাল বুধবার। এই বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আপিলের যুক্তি খণ্ডন শেষ করে গত ৮ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) রায় ঘোষণার জন্য ৬ জানুয়ারি দিন ঠিক করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। ২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধের বহু প্রতীক্ষিত বিচার শুরুর পর আপিলে বিভাগে আসা ষষ্ঠ মামলা এটি, যার রায় হতে যাচ্ছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা এখন প্রত্যাশা করছি তিনি (নিজামী) চরম দণ্ড পাবেন; আমাদের এবং দেশবাসীর আশা পূরণ হবে।”
তিনি আরো বলেন, ‘যে চারটি হত্যা-গণহত্যা ও ধর্ষণের দায়ে ট্রাইব্যুনালের রায়ে নিজামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে, সেগুলোতে সর্বোচ্চ সাজা বহাল থাকবে বলে আশাবাদী।’
অন্যদিকে নিজামীর প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, যে সাক্ষ্য প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে তার মক্কেল ‘নির্দোষ’ প্রমাণিত হবে, তিনি ‘খালাস’ পাবেন।
“যে রায়ই হোক না কেন, একজন আইনজীবী হিসেবে আমি সেই রায় অবশ্যই মেনে নেব। তারপর পর্যালোচনা করে দেখব,.. পর্যালোচনা করার পর যদি দেখা যায় আমাদের বক্তব্যগুলো সঠিকভাবে মূল্যায়ন করেনি, সেক্ষেত্রে রিভিউয়ের সুযোগ আছে।”
২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসির দণ্ড দেন। রায়ে ১৬টি অভিযোগের মধ্যে আটটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেন নিজামী। নিজামীর করা আপিলে ১৬৮টি যুক্তি তুলে ধরে সাজার আদেশ বাতিল করে খালাস চাওয়া হয়। সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়ায় রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেনি রাষ্ট্রপক্ষ।
এই আপিলের ওপর গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর শুনানি শুরু হয় চলে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দ্বাদশ দিনে শুনানি নিয়ে ৮ ডিসেম্বর আদালত রায়ের দিন ঠিক করে দেয়।