বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা খুররম খান চৌধুরীর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী

যা যা মিস করেছেন

শেখ জহিরুল ইসলাম নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

 

ময়মনসিংহের নান্দাইল ও ঈশ্বরগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা খুররম খান চৌধুরী ২য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৭ জুলাই। ২০২১ সালে এই দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ১৯৪৬ সালের ৪ আগষ্ট নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের বাহাদুরপুর হাউজে এক সম্রান্ত জমিদার পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন। পিতা জমিদার মরহুম আশরাফ হোসেন খান চৌধুরী মাতা মরহুমা শামছুন্নেছা চৌধুরী।

 

মরহুম খুররম খান চৌধুরী ১৯৬০ সালে রাজনীতি শুরু করেন। ৬১ বছরের রাজনীতির জীবনে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৬৪ সালে মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের বি.ডি মেম্বার নির্বাচিত হন। ১৯৬৮ সালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বি.ডি মেম্বার থেকে পদ ত্যাগ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধ অংশ গ্রহণ করেন। তিনি এক জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭৬ সালে মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন৷ ১৯৭৭ সালে নান্দাইল উপজেলার ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

 

১৯৭৮ সালে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলার রেডক্রস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। একই বছরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদে নির্বাচনে প্রথম বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটির জাতীয় কমিটির ম্যানেজিং বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার্ড গ্রাজুয়েট হিসাবে সিনেট সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটির একমাত্র প্রতিনিধি হিসাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।

 

১৯৮৫ সালে নান্দাইল উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে চর্তুথ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঈশ্বরগঞ্জ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে পালামেন্ট ডেলিগেশনে বাংলাদেশের পক্ষে ইতালির এক কনফারেন্স অংশ গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে নান্দাইল আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালে কানাডা কমনওয়েলথ কনফারেন্স বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি দীর্ঘদিন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য,ময়মনসিংহ উত্তর জেলার বিএনপির আমৃত্যু আহবায়ক ও নান্দাইল উপজেলার বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ বর্ষিয়ান, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও শিক্ষানুরাগী।

 

মরহুম খুররম খান চৌধুরী নান্দাইলে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে গেছেন। তার মধ্যে খুররম খান চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ,আনওয়ারুল হোসেন খান চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ,আশরাফ চৌধুরী ফাজিল মাদ্রাসা,আনওয়ারুল হোসেন খান চৌধুরী মহিলা কলেজ, শামছুন্নেছা চৌধুরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়,খুররম খান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়,

আনওয়ারুল হোসেন খান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়,মাফরুহীন খান চৌধুরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

 

মরহুম খুররম খান চৌধুরীর স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। স্ত্রী হাসিনা খান চৌধুরী একজন সমাজসেবীকা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও পরিচালনায় নিয়োজিত আছেন। ছেলে নাসের খান চৌধুরী বিশিষ্ট সফল ব্যবসায়ী, নান্দাইল উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সদস্য ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপি। মেয়ে মাফরুহীন খান চৌধুরী অস্ট্রেলিয়ার সিভিল এ্যাডমিনিস্ট্রেশন কর্মরত আছেন। তিন নাতনি ও এক নাতি যুক্তরাষ্ট্র ও অষ্ট্রেলিয়া তে পড়াশোনা করছেন।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security