ময়মনসিংহের নান্দাইলে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করায়, ৩টি বালুর ট্রাক জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বালু ব্যবসায়ী ও ড্রেজার মালিক ও চালক কাউকে পাওয়া যায়নি ।
জানা যায় দীর্ঘ দিন ধরে একটি বালু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন নান্দাইলের সুশীল সমাজ নান্দাইলের কর্মরত সাংবাদিকরা বিভিন্ন ফেইসবুক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় নিউজ প্রকাশিত হওয়ায়(১০ই ডিসেম্বর) সহকারী ভূমি কমিশনার এটিএম আরিফ এর নেতৃত্বে উপজেলার চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চরভেলামারী এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড় থেকে ৩ টি ট্রাক আটক করেন।
জানাযায়,উপজেলার চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুর বাজার আতাউরের মোড় উপজেলার পার্শ্ববর্তী বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের মধুপুর বাজার পার্শ্ববর্তিএলাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক শ্রেনীর প্রভাবশালী অবৈধ বালু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বুলগেট মেশিনে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে মাহিন্দ্র ট্রাক্টর, ট্রাক,ভটভটি যোগে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট বালু বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে রাতারাতি তারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। অথচ যেন দেখার কেউ নেই। অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ব্রহ্মপুত্র নদী ভাঙ্গন,ব্রীজ,আশ্রায়ন প্রকল্প ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী ও সচেতন মহল। আটককৃত ৩টি ট্রাক নান্দাইল মডেল থানা হেফাজতে রয়েছে। ট্রাক আটকের ঘটনায় বেতাগৈর ইউনিয়ন উপসহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে অবৈধ বালু ব্যবসায়ী ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে নান্দাইল মডেল থানায় নিয়মিত একটি মামলা দায়ের করেন ।
এ ব্যাপারে নান্দাইল উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা এটি এম আরিফ সত্যতা স্বীকার করেন বলেন, ব্রম্মপুত্র নদীর বালু উত্তোলনের সরকারি কোন বালু ঘাটের ডাক নেই।নান্দাইল উপজেলায় কোন অনুমোদিত বালুমহাল না থাকা সত্ত্বেও ব্রহ্মপুত্র নদী হতে অবৈধ ভাবে বালু্ উত্তোলন করে আসছে। তাই আবারো যদি বালু উত্তোলন করে তাহলে এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।