পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণে সব কৃতিত্ব বাংলাদেশের জনগণের। এবং তার পাশে থাকার জন্য দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সকলের উদ্দেশ্যে এ শুভেচ্ছা জানান। তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় সভাপতিত্ব করেন।এর তিনি বলেন, ‘এভাবে আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি বাংলাদেশের জনগণের কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। তাদের শক্তি (আমার জন্য) সবচেয়ে বড় শক্তি।
শেখ হাসিনা তাঁর মন্ত্রিপরিষদের সহকর্মী এবং কর্মকর্তাদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছার উত্তরে বলেন, ‘এই শুভেচ্ছা আমার দেশের জনগণের জন্য। আমার জন্য নয়, বাংলাদেশের মানুষের জন্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রমত্তা পদ্মার বুকে সেতু তৈরী করাটাই একটি ইতিহাস। সেক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী এবং সচিব যারা ছিলেন অর্থ বরাদ্দে এতটুকু কার্পণ্য করেননি বরং কিভাবে আমরা নিজেদের টাকায় করতে পারি সে জিনিসটি আরো সহজ করে দিয়েছেন।
তিনি এজন্য অর্থমন্ত্রণালয়সহ কেবিনেট এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ২০১২ সাল থেকেই তো এই যুদ্ধ শুরু। কত অপবাদ, ষড়যন্ত্র এরজন্য মোকাবিলা করতে হয়েছে। আর সব থেকে দুঃখজনক যে আরো আগে সেতুর কাজ শুরু করা গেলে আরো আগেই শেষ করা সম্ভব হোত।
তিনি বলেন, আরেকটি বিষয় আমার কাছে অবাক লাগে আমাদের কিছু অর্থনীতিবিদ এবং জ্ঞানী-গুণীরা যে বলেছিল- এটা ভায়াবল হবে না, কে এখান থেকে চলবে, কোন টাকা উঠবে না। কিন্তু এখন কি দেখা যাচ্ছে?
এরফলে মানুষের জীবন-জীবিকার আমুল পরিবর্তন ঘটবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু তৈরীর আগে প্রতিবছরই উত্তরবঙ্গে মঙ্গা দেখা দিত অথচ এই একটি সেতু নির্মাণের পর সেখানের মঙ্গা আর নেই। সেখানে পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সাপ্লাই চেইন স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ইলিশের মওসুম এসে যাওয়ায় রাজধানীতে বসেই তাজা ইলিশ প্রাপ্তিও সম্ভব হবে, অন্যদিকে জেলেরাও লাভবান হবে, বলেন তিনি।তিনি বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের দেশের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের একটা বিরাট মাইলফলক।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়