রবিবার, মে ৫, ২০২৪

জুমার খুতবা প্রসঙ্গে কিছু কথা

যা যা মিস করেছেন

আমাদের দেশে জুমার যে খুতবা পাঠ করা হয় এর মধ্যে সুনির্ধারিত কয়েকজন সাহাবির নাম পাওয়া যায়। নবী-কন্যাদের মধ্যে কেবল হজরত ফাতিমার উল্লেখ রয়েছে, অন্য কারও উল্লেখ নেই। এর কোনো কারণ বুঝে আসে না। এ বাধ্যবাধকতা কোথা থেকে কীভাবে শুরু হলো? তাই খতিবদের জন্য বিষয়টি গভীরভাবে তলিয়ে দেখা বাঞ্ছনীয় এবং অন্য সাহাবি ও নবী পরিবারের লোকদের নাম খুতবায় উল্লেখ করা প্রয়োজন। যাতে সাহাবিদের আধিক্যের বিষয়টি সুস্পষ্ট হয় এবং নবী পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রতিও সম্মান প্রদর্শিত হয়। এরূপ আচরণের কারণে আজ মুসলমানদের মধ্যে কয়েকজন সাহাবি ছাড়া অন্যদের প্রতি অবহেলা প্রদর্শিত হচ্ছে। নবীর যে আরও কন্যা রয়েছেন এ বিষয়ে অনেকের মোটেও জানা নেই। এ উদ্দেশ্যেই আমি ‘নবী পরিবারের প্রতি ভালোবাসা’ নামের একটি বই রচনা করেছি। বইটি খুবই চমৎকার এবং তত্ত্ববহ। আমি জুমার খুতবায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সাহাবি ও নবী পরিবারের অন্য সদস্যদের নাম উল্লেখ করি। যারা  বোঝেন তারা অবাক হন। এ বিষয়টির প্রতি যত্নবান হওয়ার জন্য আমি খতিব সাহেবদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

হজরত ফাতিমা (রা) ছিলেন হজরত আলী (রা.)-এর স্ত্রী, হজরত হাসান-হুসাইনের মা, জান্নাতি মহিলাদের নেত্রী ও বিশ্বনবীর প্রাণাধিক প্রিয় কন্যা। তাঁর মাধ্যমেই নবী বংশের ধারাবাহিকতা এবং নবী পরিবারের বিস্তৃতি ঘটে। কিন্তু বিশ্বনবীর আরও তিন কন্যা রয়েছেন- রুকিয়্যাহ, জয়নব ও উম্মে কুলসুম (রা.)। শিয়ারা কেবল হজরত ফাতিমার নামই উল্লেখ করেন, অন্যদের কথা কখনো উল্লেখ করেন না, করতে চান না। যদি আমার চারটি সন্তান থাকে আর আপনারা যদি কেবল একজনের কথাই উল্লেখ করেন এবং শুধু তারই প্রশংসা করেন তাহলে যেমন আমার অবশিষ্ট তিন সন্তান মনঃক্ষুন্ন হবে, কষ্ট পাবে তেমনি আমিও কষ্ট পাব। সুতরাং বিশ্বনবীর কেবল একজন কন্যার প্রশংসা করে অন্যদের প্রতি অবহেলা এবং অনীহা প্রদর্শন করা হলে তাতে যেমন অন্য কন্যারা মনঃক্ষুন্ন হবেন তেমনি বিশ্বনবীর জন্যও তা কষ্টের কারণ হতে পারে। কিছুদিন যাবৎ আমাদের দেশে কিছু মহিলা হজরত ফাতিমা (রা.)-এর নামে মিলাদ প্রথা চালু করেছেন। এর আগে কোনো দিন এরূপ মিলাদের কথা শোনা যায়নি। আমি জানি না, হঠাৎ করে এরূপ প্রথা চালুর পেছনে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের কালো হাত আছে কি না? বুজুর্গানে দীনের জীবনী চর্চা করা এবং তাঁদের আদর্শে স্বীয় জীবন গড়ে তোলা প্রশংসনীয়; কিন্তু হজরত ফাতিমার নামে মিলাদ প্রথার আবিষ্কার যেমন নবীর অন্য কন্যাদের প্রতি অবহেলা প্রদর্শনের অবকাশ সৃষ্টি করে, তেমনি দীনের হুকুম-আহকামে মনগড়া বিষয়ের সংযোজন হয় বিধায় তা সম্পূর্ণ বর্জনীয়।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security