আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেছেন, বর্তমান হেফাজতের নেতৃত্ব ইসলামের হেফাজতকারী নয়। তারা বিএনপি-জামায়াতের এজেন্টা বাস্তবায়নকারী। আমাদের লড়াই আলেম সমাজ কিংবা সাধারণ মাদ্রাসা ছাত্রদের বিরুদ্ধে নয়।
তিনি বলেন, যারা সম্মানিত আমেল সমাজ ও নিরীহ মাদ্রাসা ছাত্রদের লেলিয়ে দিয়ে সন্ত্রাস ও তাণ্ডব চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে রাজশাহী বিভাগের নেতাকর্মীর সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
এসএম কামাল হোসেন বলেন, প্রথম ধাপে করোনার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। মসজিদের ইমাম, কওমী মাদ্রাসার জন্য ১৬ কোটির বেশি টাকা দিয়েছেন। সারাদেশে ৫৬০টি আধুনিক মসজিদ করেছেন। কিন্তু আজকে যারা এই আমেল সমাজ ও কমলমতি মাদ্রাসা ছাত্রদের সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন, সেই মামুনুল হকের মতো দুশ্চরিত্রদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কারণ এরা স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য তারা প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কথা বলছেন। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শুধু বঙ্গবন্ধুর বিরোধীরাই করছেন না, স্বাধীনতার বিরোধীতা করছেন। কারণ বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীনতা এক ও অভিন্ন শব্দ।
এসএম কামাল হোসেন বলেন, আজকে যারা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে নাশকতা করছেন, অরাজকতা করছেন তাদের কাছে প্রশ্ন, এই মোদি যখন ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলেন তখন মামুনুল হকরা যে চার দলীয় জোটের সঙ্গে শরিক ছিলেন, সেই শরিক দল বিএনপি উৎসব করেছেন।