রবিবার, মে ৫, ২০২৪

বিমা সেবায় গ্রাহকের স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

যা যা মিস করেছেন

গ্রাহকের স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বিমা সেবাকে মানুষের দোর গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিমা মূলত একটি সেবামূলক পেশা, বিমা সেবাকে জনপ্রিয় করে মানুষের দোর গোড়ায় পৌঁছে দিতে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি বিমা প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। গ্রাহকের স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বিমা কোম্পানিগুলোকে বিমার সেবা দিতে হবে।

সোমবার (১ মার্চ) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতীয় বিমা দিবস-২০২১ উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। অর্থনীতি যত বেশি শক্তিশালী হবে, বিস্তৃত হবে, মানুষ সচেতন হবে, বিমার গুরুত্বটাও কিন্তু ততটা বাড়বে উল্লেখ করে এসময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিমা থেকে যে সুফলটা পেতে পারে মানুষ এই সম্পর্কে আমাদের সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। আমি আশা করি যে আপনারা যারা বিমার সঙ্গে জড়িত, তারা উদ্যোগ নেবেন মানুষের মধ্যে সচেতনতাটা বাড়াতে।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটা কথা আমি বলতে চাই, যারা বিমার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন, তাদের একটি বিষয়ে একটু সতর্ক থাকা উচিত। ব্যবসা করতে যেয়ে তারা বিমা করছেন কিন্তু অনেক সময় কোনো ক্ষতি না হলেও নিজেরা, আমি বলবো যে আর্টিফিসিয়ালি কিছু ক্ষতি করে- যেমন কোথাও আগুন লাগালো বা কোথাও একটা ঘটনা ঘটালো, করে একটা মোটা অংকের বিমার প্রিমিয়াম থেকে টাকা চায়। আসলে যদি খোঁজ করে দেখা যায়, যে পরিমাণ অর্থ দাবি করছে, সেই পরিমাণ খরচ হয়নি। কিন্তু যারা পরীক্ষা করতে যাবে, তাদেরও আপনাদের ভালোভাবে শিক্ষা দিতে হবে। তারা যেনো আবার অন্য কোনোভাবে অল্প ক্ষতিকে বড় ক্ষতি হিসেবে না দেখায়। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কয়েকটি বিষয় আমি হাতেনাতে ধরতে পেরেছি বলে আপনাদের সামনে বললাম। কাজেই এখানেও যে দুর্নীতিটা হয়, সেটাও কিন্তু দেখতে হবে। এখন অনেক কমে গেছে, বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে আরও সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে। সেই বিষয়টাও আপনারা লক্ষ্য রাখবেন বলে আশা করি।

বিমা শিল্পে বঙ্গবন্ধুর পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই ১ মার্চকে বিমা দিবস হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্তের জন্য। ১৯৫৯ সালের এ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি নিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি বিমা শিল্পের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হাতেই গঠিত হয় ইন্স্যুরেন্স একাডেমি। বিমা শিল্পের প্রসারে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার জন্যই তিনি এ একাডেমি গঠন করেন, যা আমাদের দেশে বিমা শিল্পের প্রসার ঘটানোর জন্য এখনও কার্যকর রয়েছে। একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলতে তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পান। একটা শূন্য থেকে তিনি শুরু করেন। একটি রাষ্ট্র গঠনে যা যা প্রয়োজনীয়, তিনি করে গিয়েছেন। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি তিনি তৈরি করে দিয়ে যান এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতিও বাংলাদেশ শুরু করে। দেশের মানুষের জীবনে শান্তি নিরাপত্তা ফিরে আসে, মানুষ যখন যুদ্ধের ভয়াবহতা কাটিয়ে ওঠে, ঠিক সেই সময়ে আসে চরম আঘাত- ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট।

এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security