বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

দ্বিগুণ গতিতে গলছে হিমালয়!

যা যা মিস করেছেন

হিমালয়ের ভারত, চীন, নেপাল ও ভুটানের প্রায় সাড়ে ছয়শো কোটি হিমবাহের ২ হাজার কিলোমিটার অঞ্চলের গত ৪০ বছরের স্যাটেলাইট ছবি পর্যবেক্ষণ করে পরিবেশবিজ্ঞানীরা দেখতে পান, গত শতকের তুলনায় একবিংশ শতকের শুরু থেকেই দ্বিগুণ গতিতে গলছে হিমালয় পর্বতমালার বরফ।

বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে ২০০০ সাল থেকে প্রতিবছর দেড় ফুটেরও বেশি বরফ গলেছে।

হিমালয় সংলগ্ন এলাকায় ঘনঘন বন্যা দেখা যাচ্ছে। হিমবাহ গলে কয়েক দশক পর নদী শুকিয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। এতে দেখা দিতে পারে পৃথিবী জুড়ে তীব্র পানি সংকট। এর মূল কারণ হিসেবে বৈশ্বিক উষ্ণতাকেই দায়ী করেছেন গবেষকরা। যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স এডভান্সেস জার্নালের এক প্রবন্ধে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।

প্রবন্ধে বলা হয়, জ্বালানি থেকে নির্গত ধোঁয়া আর অন্যান্য রাসায়নিক জমা হয় হিমালয়ের বরফে ঢাকা পাহাড়ের ওপর। যা সূর্যের তাপ শোষণ করে ত্বরান্বিত করে হিমবাহ গলার প্রক্রিয়া। এর প্রভাব পড়ছে এশিয়ার নদীগুলোর প্রবাহের ওপর। অসময়ে হিমবাহ গলে দেখা দিচ্ছে ঘনঘন বন্যা। এমনকি সব হিমবাহ গলে কয়েক দশক পর সব নদ-নদী শুকিয়ে যাওয়ার মত ঘটনাও ঘটতে পারে। গত ৪ দশকে হিমালয় হিমবাহ পর্বতমালার প্রায় চার ভাগের এক ভাগ বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য গলে গেছে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।

এশিয়ায় মূল নদীগুলোর উৎপত্তি হিমালয়ে। এই অঞ্চলগুলোর প্রায় ৮০ কোটি মানুষের জীবনধারা এসব নদীর ওপর নির্ভরশীল। দ্বিগুণ গতিতে হিমবাহ গলতে থাকলে বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, ঘনবসতিপূর্ণ এই অঞ্চলে একসময় তীব্র পানি সংকটের কারণে ভয়ানক বিপর্যয় নেমে আসবে। তাই সময় থাকতেই পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বৈশ্বিক উষ্ণতা যথাসম্ভব কমিয়ে গ্রীন হাউসের পরিমাণ বাড়াতে সতর্ক করেছেন।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security