বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪

ভাইয়ের পা ধরে মাফ চেয়েও বাঁচতে পারলেন না, বাক প্রতিবন্ধী স্ত্রীর আহাজারি

যা যা মিস করেছেন

চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন পশ্চিম নাছিরাবাদ বার কোয়ার্টার এলাকায় ভাইয়ের হাতে খুন হয়েছেন আরেক ভাই। দুই ভাই দুই কাউন্সিলর প্রার্থীকে সমর্থন করতেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে, দুই ভাইয়ের মধ্যে পূর্ব থেকে বিরোধ ছিল। নিহতের নাম নিজাম উদ্দীন মুন্না। অভিযুক্ত তার ভাই সালাউদ্দীন কামরুল। এদের মধ্যে নিজাম উদ্দীন মুন্না সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবের আহমদের সমর্থক ও অভিযুক্ত সালাউদ্দীন কামরুল আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিনের সমর্থক।

এদিকে, ছেলের খুনের জন্য আরেক ছেলের ফাঁসি চাইলেন তাদের মা। তাদের মা জিন্নাত আরা বেগম বলেন, “আমার ছেলের ফাঁসি চাই। ও প্ল্যান করে খুন করেছে।”
“আমার বউ মা বোবা, কথা বলতে পারে না। তার মাসুম দুই সন্তানের কী হবে?” বলেন তিনি।

তিনি বলেন, দুই ভাই দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছিলেন। পারিবারিক জায়গা নিয়েও বিরোধ ছিল। আমার ছেলের খুনের জন্য আমার আরেক ছেলে কামরুল ইসলাম দায়ী। আমি তার ফাঁসি চাই।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার বড় নাতি ইমন দেখছিল, নিজাম ভাইয়ের পা ধরে বলছিল মাফ করে দাও। কিন্তু সে মাফ করেনি। খুন করে ফেলেছে।

নিহত নিজামের স্ত্রী নাসরিন আকতার সুমি বাক প্রতিবন্ধী। তিনি নিজের ভাষায় বলার চেষ্টা করছিলেন সব ঘটনা। বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন তার মা ও শাশুড়ি।

সুমি জানান, অনেক দিন ধরে আমাদের ওপর অত্যাচার করে আসছিল কামরুল। হত্যার হুমকিও দিয়েছিল।

সুমির ছেলে ইব্রাহিমের বয়স মাত্র ৮ মাস। মেয়ে বিবি মরিয়মের বয়স আড়াই বছর।

নিহত নিজামের বোন বিবি জোহরা মুক্তা বিলাপ করে কাঁদছিলেন ভাইয়ের শোকে। তিনি বলেন, আমার ভাতিজা, ভাতিজির কী হবে।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security