নিয়ম ভেঙে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের ভিতরে নারীর সঙ্গে হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে কারাবন্দী তুষারের দীর্ঘ সময় কাটানোর ঘটনায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার পার্ট-১ এর সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও জেলার নুর মোহাম্মদ মৃধাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট পাঁচজনকে প্রত্যাহার করা হলো।
আজ রবিবার সকালে দুজনকে প্রত্যাহার করা হয়। তাদের কারা অধিদফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান কারা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন।
তিনি জানান, পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাশিমপুর কারাগার পার্ট-১ এর সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও জেলার নুর মোহাম্মদ মৃধাকে কারা অধিদফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার ডেপুটি জেল সুপার মোহাম্মদ সাকলাইনসহ তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। বাকি দুজন হলেন- সার্জেন্ট আবদুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী খলিলুর রহমান।
কারা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন সেদিন বলেন, গত ২০ জানুয়ারি তিনজনকে প্রত্যাহার করে সদর দফতরে সংযুক্ত করার আদেশ দেওয়া হয়। ২১ জানুয়ারি তারা সদর দফতরে এসে যোগদান করেছেন।
এদিকে ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গত ৬ জানুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পার্ট-১ এ বন্দী তুষারের সঙ্গে কারাগারের ভিতরে দেখা করেন এক নারীসহ তিনজন। হলমার্ক কেলেঙ্কারির হোতা তানভীরের ভায়রা কোম্পানির জি এম তুষার। ডেপুটি জেলার সাকলাইন ১২টা ৫৭ মিনিটে কারাগারের ভিতরে প্রবেশ করে ১টা ৪ মিনিটে তুষারকে সঙ্গে নিয়ে ওই নারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে একটি কক্ষে নেন। তখন কারাগারের ভিতরে জেল সুপার রত্না রায় উপস্থিত ছিলেন। ১টা ১৫ মিনিটে জেল সুপার কারাগার থেকে বের হয়ে যান। এরপর তুষার একটি কক্ষে প্রায় ৪৬ মিনিট সময় কাটান ওই নারীর সঙ্গে।
এ ঘটনায় গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসক।